বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চেম্বারে রোগী দেখাকালীন এমারজেন্সি রোগীর ফোন আসে চিকিৎসকের কাছে। বাধ্য হয়ে মাঝপথে রোগী দেখা বন্ধ করে দেন চিকিৎসক। চেম্বার থেকে বেরোনোর তোরজোড় করতেই, সেখানে উপস্থিত তৃণমূল (tmc) নেতার সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। চিকিৎসককে হেনস্থা এবং গালিগালাজ করার অভিযোগও ওঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় দুপক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
সম্প্রতি কোচবিহারের (coochbehar) মেখলিগঞ্জ থেকে এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, নির্যাতিত চিকিৎসকের নাম অভিজিৎ সাহা এবং যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি হলেন লক্ষ্মীকান্ত সরকার। তাঁর স্ত্রী হলেন মেখলিগঞ্জের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার।
ঘটনা প্রসঙ্গে অভিযোগকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, গত ৬ ই আগস্ট ভোটপাট্টির চ্যাংড়াবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখছিলেন তিনি। এমন সময় এক এমারজেন্সি রোগীর ফোন আসে চিকিৎসকের কাছে। যার কারণে সেদিন তাঁর পক্ষে চেম্বারের রোগী দেখা আর সম্ভব হয়নি।
সেদিন ওই চেম্বারেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীকান্ত সরকার এবং তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার। চেম্বারের রোগী না দেখে এমারজেন্সি রোগীর কাছে যাওয়ার কথা শুনেই চিকিৎসকের সঙ্গে বচসায় জড়ান তাঁরা। চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, অকথ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করেন তৃণমূল নেতা।
ঘটনার পরবর্তীতে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে, নিজের নিরাপত্তার আর্জি জানান নির্যাতিত চিকিৎসক অভিজিৎ সাহা। আবার অন্যদিকে, তাঁর স্বামীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগে থানায় চিকিৎসকের নামে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন নিয়তি সরকার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।