বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর আলি খান রেখে তুমুল সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন করিনা কাপুর খান (kareena kapoor khan) ও সইফ আলি খান (saif ali khan)। দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের আগে করিনা জানিয়েছিলেন তৈমুরের নামকরণের সময় যে ভুল তাঁরা করেছিলেন তা আর দ্বিতীয় বার করতে চান না। তাই ছোট ছেলের জন্মের কয়েক মাস পরেও তার নাম প্রকাশ্যে আনেননি।
শেষমেষ করিনার বাবা রণধীর কাপুর স্বীকার করেন ছোট নাতির নাম রাখা হয়েছে জেহ (jeh ali khan)। তবে এবার যে তথ্য প্রকাশ্যে এল তাতে প্রশ্ন উঠছে জেনেশুনেই কি এবারেও ‘ভুল’ করলেন সইফ করিনা? দম্পতির ছোট ছেলের নাম জেহ নয়, বরং জাহাঙ্গীর (jahangir)! আদর করে ছেলেকে জেহ বলে ডাকেন করিনা। সম্প্রতি এমনি দাবি উঠেছে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, করিনার সদ্য প্রকাশিত বই ‘প্রেগনেন্সি বাইবেল’এ একটি ছবির ক্যাপশনে ছোট ছেলের নাম ‘জাহাঙ্গীর’ বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রী। তবে সোমবার ইনস্টাগ্রাম লাইভে করন জোহরের সঙ্গে নিজের বইয়ের বিষয়ে কথা বলার সময়ে ছোট ছেলের নাম ‘জেহ’ই বলেছেন করিনা।
https://www.instagram.com/tv/CSWxdQ3nLsK/?utm_medium=copy_link
উল্লেখ্য, জেহ এর নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটিজেনদের একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করেছিল মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের নাম থেকেই দ্বিতীয় সন্তানের নাম রেখেছেন করিনা ও সইফ। সেই সন্দেহই এখন সত্যি হওয়ার গুঞ্জন উঠছে। ফের ট্রোলের মুখে পড়েছেন তারকা দম্পতি। বেশির ভাগেরই কটাক্ষ, তৈমুর হল, জাহাঙ্গীর হল। এবার তৃতীয় সন্তান নিয়ে তার নাম ঔরঙ্গজেব রেখে দিক সইফ করিনা। আবার আরেকজন কটাক্ষ ছুঁড়ে লিখেছেন, মুঘল সম্রাটদের টিম বানানোর চেষ্টায় আছেন নাকি করিনা সইফ!
প্রসঙ্গত, জেহ নামটি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকে দাবি করেছিলেন এটি একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হল নীল পাখির পালক। দ্বিতীয় সন্তানের ডেলিভারির আগে নেহা ধুপিয়ার একটি টক শো তে এসে বেবো জানিয়েছিলেন তৈমুরের বেলায় যে ভুল তাঁরা করেছেন তা আর দ্বিতীয় বার করতে রাজি নন। তৈমুরের নাম নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে ও সইফকে। তাই সেই ভুল তাঁরা আর করবেন না বলেই জানান।
https://www.instagram.com/p/CSOucXEDnNI/?utm_medium=copy_link
কিছুদিন সময় যাক তারপর তাঁরা চিন্তা করবেন কি নাম রাখবেন। নেটিজেনদের বক্তব্য ছিল, তৈমুর লঙের নামে প্রথম ছেলের নাম রেখেছিলেন করিনা সইফ। কিন্তু অভিনেত্রী বার বার জানিয়েছিলেন, তৈমুরের অর্থ লোহা। এই কারণেই এই নামটা পছন্দ করেছিলেন তিনি।