বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার বাগনানে নিজের বাড়িতেই গণধর্ষণের শিকার হন এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রী। কয়েক মাস আগে স্ট্রোক হওয়ার কথা বলতে পারেন না তিনি। সেই সুযোগ নিয়েই শনিবার গভীর রাতে তাকে ধর্ষণ করে কিছু দুষ্কৃতী। অভিযোগ, বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, নির্যাতিতার স্বামী একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। তার বুথ থেকে যথেষ্ট ভালো লিড পেয়েছিল বিজেপি। সেই আক্রোশ থেকে বেশকিছু তৃণমূল কর্মী এই কান্ড ঘটায়।
বাগনান থানার বাইনান এলাকার বাসিন্দা এই মহিলাকে শুধু রাতভর গণধর্ষণ করা হয় তাই নয়। সকালে উঠে তার ছেলে দেখে, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে তার মা। বাবার মোটর সাইকেলটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তার উপর। এরপরেই তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। পরে অবশ্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ট্রান্সফার করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং দেবাশীষ রানার বিরুদ্ধে।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা নেত্রী। গতকাল রাতে তাকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এরপরেই ফেসবুকে তিনি লেখেন, “আমি বিস্মিত যে ধর্ষণকে একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর সময়কালে। হাসপাতালে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলাম, যিনি বাগনানে কুতুবউদ্দিন মল্লিক এবং দেবাশীষ রানার নেতৃত্বে টিএমসি কর্মীদের দ্বারা নির্মমভাবে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।”
তার আরও অভিযোগ “পুলিশ ও প্রশাসন এই অমানবিক অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার এবং অপরাধীদের বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। প্রাথমিক কাজ ওনাকে সুস্থ করে তোলা, হাসপাতালের অব্যবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওনাকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করার ব্যবস্থা করেছি, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা দ্বিতীয় অগ্রাধিকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত আমি থামব না।” শুধু শুভেন্দু নয় এই বিষয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরীও। টুইটে কড়া আক্রমণ করে তিনি লেখেন, “নারী অত্যাচারে এগিয়ে বাংলা।”