বাংলাহান্ট ডেস্ক: “মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে, কোনো কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না”, আদালত চত্বরে এভাবেই চিৎকার করে উঠলেন বাংলাদেশি মডেল অভিনেত্রী পরীমণি (porimoni)। বাড়িতে বেআইনি ভাবে মদ ও মাদক দ্রব্য মজুত রাখার অভিযোগে গত বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে তোলপাড় বাংলাদেশি বিনোদন দুনিয়া।
গত বুধবার র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন পরীমণি। বৃহস্পতিবার থেকে বনানী থানায় রাখা হয়েছে তাঁকে। চলছে দফায় দফায় জেরা। পরীমণিকে আরো পাঁচদিনের হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু মঙ্গলবার শুনানির পর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এদিনই আদালত চত্বরে উপস্থিত জনতার সামনে চিৎকার করে অসহায়তার কথা জানান পরীমণি।
আদালত থেকে বেরোনোর সময় কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে রেখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পরীমণিকে। দু হাত ধরে রেখেছিলেন দুই মহিলা পুলিসকর্মী। আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ ও সংবাদ কর্মীরা। তাদের সকলকে সাক্ষী রেখে পরীমণি চিৎকার করে বলেন, “আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আপনারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন?” পরীমণির আরো দাবি, “আমাকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ওপেন সার্চ করুন আমাকে।” অবশ্য এরপরেই পরীমণিকে হাজতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে বাংলাদেশি পুলিস আধিকারিক গোলাম মহম্মদ সাকলায়েনের সঙ্গে প্রেমের অভিযোগে আরো বিতর্কে জড়িয়েছেন পরীমণি। আগুনে ঘিয়ের কাজ করেছে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া দুজনের একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও। সম্ভবত পরীমণি বা সাকলায়েনের জন্মদিনের ভিডিও এটি। নীল কালো থিমে সাজানো হয়েছে পার্টি। বেলুন থেকে কেক সবই থিম মেনেই নীল কালো রঙের।
গোলাপি কালো রঙের পাতলা শাড়ি, কাঁচের চুড়িতে সেজেছেন পরীমণি। সাকলায়েনের মুখে থাকা কেকেই কামড় বসাতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। তারপরেই সাকলায়েনের ঠোঁটে চুম্বন করেন তিনি। দুজনের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসেবে ভিডিওটি বেশ চাঞ্চল্য ফেলেছে ওপার বাংলায়। পরীমণির সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণ মেলায় ইতিমধ্যেই কর্মক্ষেত্রে বদলি হয়েছেন সাকলায়েন।