বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) দুটি সি-১৭ গ্লোবমাষ্টার বিমান আফগানিস্তানের ভারতীয় (India) দূতাবাসের কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কাবুল থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দুপুর ১টা নাগাদ তাঁরা রাজধানীর পাশে অবস্থিত সেনা এয়ারবসে পৌঁছে যাবে। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ সহজ ছিল না। রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবানের জঙ্গিরা লাগাতার ভারতীয় দূতাবাসের নজরদারি চালাচ্ছিল।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫-১৬ আগস্টের রাতে সুরক্ষার বন্দোবস্ত খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তালিবানরা ভারতীয় দূতাবাসের নজরদারি চালাচ্ছিল আর তাঁরা হাই-সিকিউরিটি গ্রিন জোনে পৌঁছে গিয়েছিল। ভারতে আসা আফগানি নাগরিক শাহীর ভিসা এজেন্সি থেকে ভিসা নিত, তালিবানরা সেখানে তল্লাশি চালিয়েছিল।
সোমবার রাতে বায়ুসেনার প্রথম বিমান ৪৫ জন ভারতীয় কর্মীকে নিয়ে দেশে ফিরেছিল। তাঁরা যখন এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিয়েছিল, তখনই তালিবানরা তাঁদের রাস্তায় রুখে দাঁড়ায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময় তালিবানের জঙ্গিরা ভারতীয় কর্মীদের থেকে তাঁদের কিছু ব্যক্তিগত সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। কাবুল এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দেওয়া আফগান জনতার ভিড় কাটিয়ে ভারতীয় কর্মীদের যাওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছিল।
এয়ারপোর্টের রাস্তা বন্ধ থাকা এবং ভিড়ের কারণে প্রথম বিমান রওনা দেওয়ার পর বাকি কর্মীদের তখন উদ্ধার করা যায়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে মধ্যরাতে হওয়া কথাবার্তার যেরে ভারতীয় কর্মীরা এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। মঙ্গলবার সকালে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া প্রথম বিমান জামনগর আর দিল্লির হিন্ডন এয়ারবেসে পৌঁছাবে।
গত সোমবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রালয় বয়ান জারি করে বলেছিল যে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত। মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, বিগত কয়েকদিনে কাবুলের পরিস্থিতি অনেকটা খারাপ হয়েছে। উনি আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের দেশে ফেরার সাহায্যের জন্য নিজের ফোন নম্বর ও ইমেল আইডি দিয়েছিলেন।