বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিশেষত মোটোর বাইক ভ্লগারদের জন্য হেলমেট ক্যামেরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টুল, ইউটিউব এ ধরনের ভ্লগিং ভীষণ জনপ্রিয়। অনেকেই গাড়ি কেনার আগে দেখে নিতে চান তার টেস্ট ড্রাইভ। সাধারণত এ ধরনের টেস্ট ড্রাইভের ক্ষেত্রে হেলমেটে ক্যামেরা লাগিয়ে ভিডিও শুট করে থাকেন ইউটিউবাররা। কিন্তু এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা যে অনেক ক্ষেত্রেই বেড়ে যায় তা বলাই বাহুল্য। এবার সে কথা মাথায় রেখেই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেরালা।
কেরালার মোটর ভেহিকল ডিপার্টমেন্টের ট্রান্সপোর্ট কমিশনারের তরফে জানানো হয়েছে, “হেলমেটে ক্যামেরা লাগিয়ে বাইক চালালে সেই দিকেই মন থাকে। কেমন ছবি উঠছে তাই নিয়েই ব্যস্ত থাকেন আরোহী। ফলে অন্যমনস্ক হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।” আর সেই কারণেই হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো সম্পূর্ণ বেআইনি ঘোষণা করল তারা। এবার থেকে এই কাজ করলে শুধু যে জরিমানা দিতে হবে তাই নয়, বাতিল হতে পারে লাইসেন্সও।
বিশেষত অনেকেই এখন লং ড্রাইভে বেরিয়ে পড়েন মোটর বাইক নিয়ে। ইউটিউব ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের ভিডিও আপলোড করা এখন আকছাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত আরোহীরা ব্যবহার করে থাকেন হেলমেট ক্যাম। অনেকে আবার সাধারন যাত্রার সময়ও এ ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করেন। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে সুবিধা হয়। কেরালা আরটিও আরও জানিয়েছে সাধারণত হেলমেটে ক্যামেরা লাগানোর ক্ষেত্রে দণ্ডনীয় শাস্তির কোন আইন নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে মোটর ভেহিকল আইনের ৫৩ নম্বর ধারা। এই আইন অনুসারে বাইকে কোন মডিফিকেশন করলে আরোহীর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।
কেরালা আরটিও মতে, হেলমেট ক্যামের মাধ্যমে অনেকেই নানা ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। কেউ স্টান্ট করছেন, কেউবা রাস্তাঘাটে নকল ঝগরা তৈরি করে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগতই হয়ে উঠছে বিপদজনক এই কারণেই সাবধানতা অবলম্বন করতে এই আইন জারি করছে কেরালা।