বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন দলে দলে শিল্পীরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে, নির্বাচন মিটতেই তেমনি একে একে দল ছাড়ছেন টলিউড তারকারা। রাজনীতি ছাড়ার ঘোষনা করে গেরুয়া শিবির ছেড়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। বেসুরো শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয়ও। আর এবার বিজেপি ছেড়ে ফের বামে ভিড়লেন রূপা ভট্টাচার্য (rupa bhattacharjee) এবং অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায়।
গুঞ্জন তখনি উঠেছিল যখন হঠাৎ করে বামের শ্রমজীবী ক্যান্টিনের ৫০০ দিন পূর্তির অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল রূপা অনিন্দ্যকে। এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (dilip ghosh) খোলা চিঠি দিয়ে দল ছাড়ার কারণ জানালেন অভিনেত্রী। ফাঁস করলেন দলের অভ্যন্তরের ‘লবিবাজি’র কথা।
হ্যাঁ, রূপার দাবি বিজেপির অভ্যন্তরেও লবিবাজি কম নেই। বিজেপি ত্যাগী মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ যারাই তাদের সকলের বিরুদ্ধে দিলীপ ঘোষ। দু বছর ধরে নাকি নাকানি চোবানি খেয়েছেন তাঁরা। একজনের থেকে ডাক পেলে অন্যজন রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
কোনো রাখঢাক না করেই রূপা বলেছেন, একুশের।বিধানসভা নির্বাচনের সময় অনেকেই ভেবেছিলেন বাংলায় এবার বিজেপি সরকার আসবে। তাই দলে দলে যোগ দিয়েছিলেন শিল্পীরা। নতুনদের সকলকেই টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রূপার খেদ, তাঁরা তিন বছর ধরে দলের সঙ্গে থেকে লড়াই করেও ব্রাত্য হয়ে থাকলেন। এমনকি নির্বাচনের পরেও তাঁদের শুনতে হয়েছে তাঁরা দলের কেউ না।
রূপারা তবু মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। বাকি শিল্পীরা নাকি দিলীপ ঘোষের ‘রগড়ানি’র জন্যই বিজেপি ছেড়েছেন। রূপার কথায়, দিলীপ ঘোষ ‘ভণ্ড’। ২০১৯ এ যখন তাঁরা দলে যোগ দিয়েছিলেন তখন যে দিলীপ ঘোষ তাঁদের উত্তরীয় পরিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে আজকের মানুষটার কোনো মিল নেই। একই সঙ্গে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তর সময়ে সিবিআই হানার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন রূপা।
তবে বামমনস্ক হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কেন রূপা? অভিনেত্রীর উত্তর, দুটো ‘ধান্দা’ নিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন। এক, যদি কেন্দ্র রাজ্য দু জায়গায় একই সরকার হয় তবে কর্মসংস্থান বাড়বে। আর দুই, রাজনৈতিক রং না দেখে শুধুমাত্র যোগ্যতার নিরিখে যাতে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের কাজ দেওয়া হয় সে জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চাইতে। তবে এখন যে জনগণ তাঁকে শিল্পী বানিয়েছেন তাদের পাশেই থাকতে চান রূপা।