বাংলাহান্ট ডেস্ক: তালিবানি সন্ত্রাসের সঙ্গে হিন্দুত্ববাদের তুলনা করে ইতিমধ্যেই বড়সড় ঝামেলায় পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর (swara bhaskar)। টুইটারে ‘অ্যারেস্ট স্বরা ভাস্কর’ ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। স্বরাকে কটাক্ষ করে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়েছেন তিনি।
বিতর্কিত টুইটে স্বরা লিখেছেন, ‘হিন্দুত্ব সন্ত্রাসের কোনো সমালোচনা আমরা করি না। কিন্তু তালিবান সন্ত্রাস দেখে আমরা আশ্চর্য হই, ক্ষুব্ধ হই। তালিবান সন্ত্রাস দেখে আমরা সরব হই কিন্তু হিন্দুত্ব সন্ত্রাসে আমাদের কিছুই আসে যায় না। আমাদের মানবিকতা ও মূল্যবোধ কোনো নির্দিষ্ট সন্ত্রাসবাদী বা সন্ত্রাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা উচিত নয়।’
এই টুইটের উত্তরেই রুদ্রনীলের পালটা প্রশ্ন, তালিবান সন্ত্রাসের হিন্দুধর্মকে স্বরা তুলনা করলেন কীকরে? অভিনেতার মতে, হিন্দুধর্মে কট্টর হিন্দুত্ববাদী আইন বলেও কিছু হয় না। রুদ্রনীলের কথায়, “হয়তো স্বরা ভাস্কর স্বপ্নে কিছু দেখেছেন। এ ধরনের স্বপ্নই তাঁর মতো মানুষদের মানসিক গঠনের পরিচয়। এ সব বললে, তাঁর বিরুদ্ধে যে জনমত তৈরি হবে, সে তো স্বাভাবিক”।
এখানেই থামেননি রুদ্রনীল। যারা প্রশ্ন করছেন আফগানিস্তানের শরণার্থীদের ভারত জায়গা দেবে কিনা তাদের উদ্দেশে অভিনেতার পালটা প্রশ্ন, শুধু আফগানিস্তান না, যে কোনো দেশের শাসকের সঙ্গে দেশবাসীর বিরোধ হলে তাদের ভারত জায়গা দেবে তো? স্বরা নিজের বাড়িতে থাকতে দেবেন শরণার্থীদের? প্রশ্ন করেছেন রুদ্রনীল। তাঁর কাছে নিজের ধর্ম সবার আগে। তারপর অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাবেন তিনি। কিন্তু কয়েকজন তথাকথিত মানবতাবাদী মানুষ যারা নিজের ধর্ম ভুলে ইফতার পার্টিতে গিয়ে ছবি পোস্ট করেন তাদের মতো হতে চান না তিনি।
সম্প্রতি আফগানিস্তান ইস্যুতে বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ, ভারত বা বিশ্বের যেকোনো দেশেই মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে আমাদের সরব হতে হবে। আজ ওখানে যা হচ্ছে তা কাল আমার দেশে বা কলকাতাতেও হতে পারে। এই প্রসঙ্গেও মতামত রেখেছেন রুদ্রনীল। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়ে জয়ার এমন আশঙ্কা হওয়া স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ইসলাম প্রধান দেশ। সেখানে হিন্দু বাসিন্দাদের সংখ্যা নামমাত্রে এসে ঠেকেছে। উপরন্তু সেখানেও মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে, দোকানে ভাঙচুর হচ্ছে। এগুলোও হিন্দু ও বৌদ্ধদের জন্য হুমকির সমান বলে মনে করেন রুদ্রনীল। তাঁর প্রার্থনা বিশ্বের যে কোনো দেশে যে কোনো ধর্মীয় কট্টরপন্থী সন্ত্রাস যেন বন্ধ হয়।