বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালিবান কবজা করার পর থেকেই দেশে বিদেশে তালিবানদের সমর্থকের সংখ্যা হুহু করে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যে কয়েকজন তালিবানে যোগ দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে পাড়ি দিয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনার দেশে তালিবানদের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, যা ভাবাচ্ছে সরকারকে। আর এরই মধ্যে কল্যাণীর এক পড়ুয়ার তালিবানদের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর উদ্বেগ বেড়েছে।
কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শফিউল্লাহ মালিকজাদার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। যেখানে তাঁকে কয়েকজন তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে হাসি মুখে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি শফিউল্লাহ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে তাঁকে তালিবান দ্বারা দায়িত্ব প্রাপ্ত কাপিসা প্রদেশের কৃষি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় মগ্ন হতে দেখা গিয়েছে। এই ছবিগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর শফিউল্লাহর আত্মীয়-সজনরাও উদ্বিগ্ন হয়েছে।
শফির পরিচিতদের মতে, গাছপালা, প্রকৃতিকে ভালবাসা শফি ভারত থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে একটি গাছের চারা এনেছিল রক্তাক্ত আফগানিস্তানে। তখন কাবুলিওয়ালাদের দেশে তালিবানের শাসন ছিল না। আর সেই যুবক এখন তালিবানদের মধ্যে কী করছে সেটা দেখেই অবাক লাগছে।
যদিও, শফি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আত্মীয় সজন এবং সবার জন্য একটি বার্তা দিয়েছে। শফি ফেসবুকে একটি পোস্ট করে জানিয়েছে যে, সে কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত না। সে আফগান সরকারের একজন কর্মী মাত্র। শফি জানায়, সমস্ত দফতরের কর্মী বদলেছে। আর সেই সূত্রেই নতুন কৃষি আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি আমি।
উল্লেখ্য, কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শফিউল্লাহ। আর তাঁর এমন ছবি নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও উদ্বিগ্ন দেখা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিকাশচন্দ্র মহাপাত্র জানান, ২০১৮ থেকে ২০২০ পর্যন্ত শফি এখানেই পড়েছে। এমএসসির ছাত্র ছিল সে। গতবছরের লকডাউন শেষে সে দেশে ফিরে যায়। উপাচার্য জানান, শফি ভারতে পড়তে আসার আগে আফগানিস্তানের কৃষি দফতরে কর্মরত ছিল। এদেশে উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় এসেছিল সে। উপাচার্য জানান, তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ ছিল না।