বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো লাইমলাইটে জনপ্রিয় ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা (sandy saha)। কিছুদিন আগেই অঙ্কুশ হাজরা ঐন্দ্রিলা সেনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এবারে তাঁর নিশানায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (srabanti chatterjee)-পুত্র অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায় (abhimanyu chatterjee)। অভিমন্যু নাকি তাঁর যৌন পরিচয় নিয়ে কুৎসিত গালিগালাজ করেছেন, এমনটাই অভিযোগ স্যান্ডির।
ঘটনা বৃহস্পতিবারের। সংবাদ মাধ্যমকে স্যান্ডি জানিয়েছেন সেদিন রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলছিলেন তিনি। ওই বন্ধুর বাড়িতে সেদিন উপস্থিত ছিলেন অভিমন্যুও। স্যান্ডি যখন তাঁর সঙ্গেও কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তখন নাকি অভিমন্যু তাঁর যৌন পরিচয় নিয়ে কুৎসিত গালিগালাজ করে বলেন, এমন একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা নেই তাঁর।
স্যান্ডি ছেলের এই কীর্তির কথা শ্রাবন্তীকে জানিয়েছেন মেসেজ মারফত। কিন্তু কোনো উত্তর আসেনি। স্যান্ডির বক্তব্য, তিনি শ্রাবন্তী অভিমন্যু দুজনকেই অনেকদিন ধরে চেনেন। অভিনেত্রী সমকামিতাকে সম্মানের চোখে দেখেন। কিন্তু অভিমন্যুর মুখে এমন কদর্য গালিগালাজ শুনবেন সেটা নাকি কল্পনাও করতে পারেননি স্যান্ডি। তাঁর কথায়, “আমি জানতাম না ও এতটা হোমোফোবিক”।
কিন্তু এ ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? স্যান্ডির উপর অভিমন্যুর এত রাগের কারণটাই বা কী? ইউটিউবারের ধারনা, সম্ভবত কয়েক বছর আগে তাঁর বানানো একটি ভিডিওর জন্যই এত সমস্যা। কী ছিল ওই ভিডিওতে? স্যান্ডির সাফাই, শ্রাবন্তীকে নিয়ে নেহাত মজা করে কিছু কথা ওই ভিডিওতে বলেছিলেন তিনি। যদিও পরে ভিডিওটি নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত কথাও হয়েছিল তাঁর। এখন স্যান্ডির প্রশ্ন, এরপরেও কি বিষয়টা নিয়ে অভিমন্যুর রাগ থাকতে পারে? আর যদি বা থেকেও থাকে তার জন্য কারোর যৌন পরিচয় নিয়ে এমন অশ্রাব্য গালি দেওয়া যায়! বাস্তবিকই ক্ষুব্ধ স্যান্ডি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্যান্ডি অভিযোগ করেছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা তাঁকে ফেসবুকে ব্লক করে দিয়েছেন। এর সপক্ষে প্রমাণও দিয়েছিলেন তিনি ফেসবুক লাইভে এসে। স্যান্ডির দাবি ছিল, অভিনেতার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেনের ছবিতে তাঁর একটি কমেন্টের জন্যই ক্ষেপে গিয়েছেন অঙ্কুশ। তাঁর ধারনা, বডি শেমিং করেছেন তিনি ঐন্দ্রিলার।
লাইভে এসে স্যান্ডি দাবি করেন, তিনি কোনো বডি শেমিং করেননি। মজা করেই করেছিলেন কমেন্টটি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, অঙ্কুশ তাঁকে হুমকি দিয়েছেন টলিউডে কাজ করতে দেবেন না। এমনকি স্যান্ডি এও বলেন, এরপর যদি তাঁকে খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে তার জন্য অঙ্কুশই দায়ী থাকবেন। যদিও এর উত্তরে অভিনেতা কোনো মন্তব্য করেননি।