বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের বিরোধিতায় দুটি নাম সামনে আসছে। একজন আফগানিস্তানের কার্যবাহ রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। যিনি রাষ্ট্রপতি আশরফ গনি দেশ ছাড়ার পর নিজেকে দেশের রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে তালিবানদের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছেন। আর দ্বিতীয় জন হলেন আহমেদ মাসুদ (Ahmad Massoud)। যিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে তালিবানের ত্রাস হয়ে উঠেছেন।
কে এই আহমেদ মাসুদ? পঞ্জশিরের ‘শের” নামে খ্যাত আফগানি কম্যান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের পুত্র হচ্ছেন বর্তমানে তালিবানের ত্রাস আহমেদ মাসুদ। এখন তাঁরই নেতৃত্বে তালিবানদের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে আফগানরা। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির উপর নজর রাখা গোটা বিশ্ব এখন এটাই জানতে চায় যে, বাবার স্বপ্ন কী আদৌ পূরণ করতে পারবে মাসুদ?

মাসুদ যখন ১২ বছরের ছিলেন, তখন তালিবান আর আল-কায়দা ষড়যন্ত্র করে তাঁর বাবাকে হত্যা করে। আমেরিকায় ৯/১১ জঙ্গি হামলার আগেই মাসুদের বাবার হত্যা হয়েছিল। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ১০০ কিমি দূরে থাকা এই পঞ্জশির এলাকা আগাগোড়াই তালিবান বিরোধী বলে পরিচিত।

পঞ্জশির হল সেই জায়গা, যেখানে শাহ মাসুদের নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে তালিবানি আন্দোলনের জন্ম হয়েছিল। শাহ মাসুদের প্রচেষ্টার পরিণামের কারণেই আজ যখন তালিবানরা গোটা আফগানিস্তানে কবজা করে নিয়েছে, তখনও পঞ্জশির ‘শির” উঁচু করে নিজেদের স্বাধীন রাখতে পেরেছে।
যখন শাহ মাসুদের হত্যা হয়েছিল। তখন আহমেদ মাসুদ খুবই ছোট ছিল। আর তখন থেকেই সে বাবার হত্যাকারীদের শিক্ষা দেওয়ার সঙ্কল্প নিয়ে নেয়। ২০ বছর পর আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে আবারও তালিবানের বিরুদ্ধে বড়সড় সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছে পঞ্জশির। আহমেদ মাসুদ পঞ্জশির প্রান্তে দেশের কার্যবাহ রাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে মিলে তালিবান বিরোধী আন্দোলনকে পুনর্জীবিত করার কাজে লেগে পড়েছে।
তালিবানের কবজা থেকে পঞ্জশির মুক্ত করার পর আফগানিরা এখন আরও তিনটি জেলা থেকে তালিবানকে খেদাতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্রোহীরা কমপক্ষে ৬০ জন তালিবানি জঙ্গিকে নিকেশও করেছে। তালিবানের সঙ্গে লড়াইয়ে রেজিস্ট্রেন্স ফোর্স বঘলান প্রান্তের তিনটি জেলা বানু, পোল-ই-ই-ইসার আর ডেহ-সলাহকে স্বাধীন করেছে।