বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন আফগানিস্তানের বর্বর তালিবানি শাসন থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়ছেন একের পর এক নাগরিক ভারত, কানাডা, আমেরিকার মতো একাধিক দেশ হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের দিকে। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রনেতারা ঘোষণা করেছেন কত সংখ্যক শরণার্থীকে নিজেদের দেশে স্থান দেবেন তারা। কিন্তু ঠিক এই সময় দেখা গেল এক পুরো উল্টো ঘটনা। আফগানিস্তানের শরণার্থী সমস্যা থেকে বাঁচতে নিজেদের বর্ডারে দেওয়াল দেওয়া শুরু করলো তুরস্ক।
প্রায় ২০ বছর পর মার্কিন সেনাবাহিনী সরতেই আফগানিস্তানে তৎপর হয়ে উঠেছিল তালিবান গোষ্ঠী, শেষ পর্যন্ত আফগান সেনাকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। এইমুহূর্তে দেশজুড়ে চলছে ভয়ের বাতাবরণ। কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে অন্যান্য দেশে পালাতে চাইছেন আফগান নাগরিকরা। কিন্তু এই শরণার্থী সমস্যা থেকে বাঁচতে এবার নিজের সীমানায় দেওয়াল তুলতে শুরু করল তুরস্ক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে তুর্কি সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২৪১ কিলোমিটার ব্যাপী একটি দেওয়াল তৈরি করার। ইতিমধ্যেই ১৫৫ কিলোমিটার দেওয়াল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
সরকারি অথরিটির মত অনুযায়ী ইতিমধ্যেই প্রায় ৬৯০০০ অনৈতিক অভিবাসীর প্রবেশ আটকে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এমনকি প্রায় ৯০৪ জনকে হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের জন্য গ্রেপ্তারও করেছে তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সরকার শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের সমস্ত সমালোচনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত তিনি এও জানিয়েছেন, তার মন্ত্রীসভা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাকিস্তানের সাথে কাজ করবে। আসলে আফগান শরণার্থীদের কাছে ইউরোপে পলায়নের পথে তুরস্ক একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চল। এটিকে ইউরোপের ট্রানজিট পয়েন্টও বলা যেতে পারে। আর সেই কারণেই শরণার্থী সংখ্যা এত বেশি তুরস্কে।