বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছু দিন হল শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। যেখানে অন্যান্য সকল প্রকল্পের সঙ্গে এবারের নতুন সংযোজন ‘লক্ষী ভান্ডার’ (Laxmi Bhandar) প্রকল্প। এই প্রকল্পের আয়ত্তাভুক্ত হওয়ার ফর্ম পাওয়া যাচ্ছে এই দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকেই। কিন্তু শুরু হতে না হতেই ‘লক্ষী ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম নিয়ে উঠেছে নানারকম দুর্নীতির অভিযোগ। এবার সেই দুর্নীতি রুখতে কড়া হল রাজ্য সরকার।
ফর্মপিছু ইউনিক নম্বর চালু করা হলেও, তাতেও নাকি আটকানো যাচ্ছে না দুর্নীতি। তাই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশিকায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, এই কাজের সঙ্গে কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা ক্লাব যুক্ত থাকতে পারবে না। কন্যাশ্রী সেল্ফ হেল্প গ্রুপ অথবা কলেজ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ‘লক্ষী ভান্ডার’র ফর্ম ফিলআপ করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে এই কাজে কন্যাশ্রীদেরও ব্যবহার করা যেতে পারে।
‘লক্ষী ভান্ডার’র ফর্ম বিলি শুরু হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে জালিয়াতি দুর্নীতির অভিযোগ আসছিল নবান্নে। টাকার বিনিময়ে ফর্ম ফিলআপ করার অভিযোগও আসছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্ক বার্তার পরও আবার জেলাশাসকদের কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কোনরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এবিষয়ে বিজপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, জাল সার্টিফিকেট এবং নথি জমা দেওয়ার বেশ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছিলেন। সেবিষয়েও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।