বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিদেশের মাটিতে বিদেশিদের চোখে চোখ রেখে ভারতকে লড়াই করতে শিখিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলীর মত অধিনায়কেরা। অস্ট্রেলিয়া হোক বা ইংল্যান্ড প্রতিপক্ষের কাছে চূড়ান্ত সমীহ আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রজন্মকেই এখন এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বিরাট, সৌরভের মতই একই রকম আক্রমণাত্মক মনোভাব কোন সময় দেওয়ালে পিঠ ঠেকতে না দেওয়ার মানসিকতা তাকে ভারতীয় দলের যোগ্য অধিনায়ক করে তুলেছে। এমন কথা এর আগেও বলেছেন অনেক বিদেশি প্রাক্তন অধিনায়কেরা।
এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসির হোসেন। নাসির এমন একজন ক্যাপ্টেন যিনি সরাসরি প্রতিপক্ষের অধিনায়কের প্রশংসা করতে পিছপা হননি কখনোই। এদিন তিনি বলেন, শক্তিশালী ভারতকে সঠিক সময় নেতৃত্ব দেওয়ার সঠিক মানুষ বিরাট। ওর বোলাররাও চায় ওর মতো একজন আক্রমনাত্মক অধিনায়ক। সাথে সাথেই তিনি মন্তব্য করেন লর্ডসে অধিনায়ক হিসেবে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন কোহলি। কিন্তু কেন হঠাৎ বিরাট প্রশংসায় মত্ত হোসেন?
আসলে ইংল্যান্ড কয়েকদিন ধরেই ভারতকে উত্যক্ত এবং কটাক্ষ করে চাপ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এমনকি কোচ সিলভারউডও বলেছেন, তারা ভারতকে কড়া ভাষায় জবাব দিতে প্রস্তুত। এই কড়া ভাষা যে শুধু ব্যাট-বলের নয় তা বলাই বাহুল্য। নাসিরের মতে, ভারতকে এভাবে কটাক্ষ করে কোন লাভ নেই। আর তাই হেডিংলি টেস্টের আগে ইংল্যান্ডকে পরামর্শের ঢঙেই তিনি বলেন “এই ভারত তেমন দল নয় যে সহজেই কটাক্ষ করে তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করা যাবে। যা তাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মকে করা সম্ভব হত।”
হোসেন আরও বলেছেন, “অস্ট্রেলিয়া সফরে টিম পেইনের ‘অপেক্ষা কর তোমাদেরকে গাব্বাতে নিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি’ কিভাবে তাদের তাতিয়ে দিয়েছিল তা আমরা দেখেছি। ভারতের সমস্ত ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস এই মুহূর্তে অসাধারণ পর্যায়ে রয়েছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লর্ডসে দুর্দান্ত জয়ের পিছনে একদিকে যেমন ছিল ব্যাট-বলের লড়াই তেমনি অন্যদিকে মৌখিক তর্ক-বিতর্কও বড় ভূমিকা নিয়েছিল। বুমরা এবং শামিকে আক্রমণ করতে গিয়ে কার্যত ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল রুট বাহিনী। সেই সূত্র ধরেই বড় জয় তুলে নিতে সুবিধা হয় ভারতের। সেই কারণেই আগামীকাল থেকে হেডিংলিতে নামার আগে রুটকে এই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন নাসির।