বাংলা হান্ট ডেস্কঃ imran আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়ার জন্য এই মুহূর্তে ইমরান খানের নির্দেশে বিদেশ সফরে রয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই সফরে তাজিকিস্তান, আর্মেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং ইরানে যাওয়ার কথা তার। সূত্রের খবর অনুযায়ী প্রত্যেক দেশেই তালিবানের গুনাগুন ব্যাখ্যা করে তাদের সরকারকে মান্যতা দেওয়ার কথা জানাবেন কুরেশি। কিন্তু তার এই প্রয়াস প্রথমেই বড় ধাক্কা খেল তাজিকিস্তানে।
কারণ মঙ্গলবার শাহ মোহাম্মদ কুরেশির সঙ্গে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমামালি রহমনের বৈঠক চলাকালীন তাজিকিস্তান পরিষ্কার জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে উগ্রবাদী তালিবান সরকারকে মান্যতা দেবে না। কার্যত দেশ দখল করার পর থেকেই তালিবানদের অত্যাচার এখন সকলের সামনে। এমতাবস্থায় নিপীড়ণের মাধ্যমে তৈরি করা কোন সরকারকে প্রাধান্য দেবে না তারা। বৈঠকের পর বিবৃতি জারি করে এই তথ্য জানিয়েছে তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রীয় তথ্য সংস্থা এজেন্সি।
বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে যে আফগানিস্তানের জনগণ তথা বিশেষত সংখ্যালঘুদের কথা বিবেচনা না করে তৈরি সরকার কোনদিনই মান্যতা পেতে পারে না। তাদের মতে, আফগানিস্তানের ভবিষ্যত সরকারে বড় ভূমিকা রয়েছে তাজিকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আফগানিস্তানে তাজিকদের সংখ্যা প্রায় ৪৬ শতাংশ। তাই ইমামালি রহমনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আফগানিস্তানে সব ধরনের সংখ্যালঘু এবং বিশেষত তাজিকদের নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করা হোক।
তাজিকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি এমন একটি দেশ যার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সরাসরি স্বীকৃতি না দিলেও তালিবানের প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করেছে রাশিয়া। এমনকি আফগানিস্তানে আমেরিকার হারে কিছুটা যে খুশি তারা তাতে কোন সন্দেহ নেই। এমতাবস্থায় তাই তাজিকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কি প্রভাব ফেলবে সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।