বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন যে, দুয়ারে সরকারের মতো মানুষের দুয়ারে রেশন (Duyare Ration) পৌঁছে দেওয়া হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন তোলার দুর্ভোগ মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ভোট মিটে গিয়েছে, সরকারও গঠন হয়ে গিয়েছে। এবার এই দুয়ারে রেশন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য তৎপর হয়েছে মমতা সরকার।
১লা সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে ‘দুয়ারে রেশন” প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ায় ডিলাররা এখনই এই প্রকল্প চালু করতে পারছে না। শুক্রবার এই কথা খাদ্য দফতরকে জানিয়েছে রেশন ডিলারের সংগঠন।
রাজ্যের খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রী রথীন ঘোষের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন রেশন ডিলাররা। সেখানেই তাঁরা জানিয়ে দেন যে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে পরীক্ষামূলক ভাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করা সম্ভব নয়। তাঁরা জানান, এই প্রকল্পের জন্য পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সরকার যেই ১ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা করেছিল, তাতে রাজি নন তাঁরা।
রেশন ডিলাররা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে তাঁদের পক্ষে গাড়ির দামের বাকি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারকেই সরকারি প্রকল্পের জন্য পুরো টাকা দিতে হবে, নাহলে এই প্রকল্প চালু করা সম্ভব নয়। রেশন ডিলাররা জানান, গাড়ির টাকা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতার কারণেই তাঁরা গাড়ি কেনেননি। ডিলাররা এও জানান যে, বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে পয়েন্ট অফ সেল মেশিন এবং অতিরিক্ত কর্মীর দরকার। এখনও সেই মেশিন আর কর্মী নিয়োগ করা হয়নি।
এছাড়াও রেশন ডিলাররা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত কমিশনের দাবি করেছে। ডিলাররা দাবি করেছেন যে, বর্তমানে ৭৫ টাকা কুইন্টাল প্রতি কমিশন দেয় সরকার। কিন্তু বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে গাড়ির তেল, মেরামতি এবং বাকি খরচ ধরে ২০০ টাকা কমিশন দিতে হবে। আর এরপরেই মানুষের দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে। ডিলারদের দাবি শুনে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ।