বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘তোমাদের অনেক নেতারাই মহিলা কেসে জড়িয়ে আছেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে তাদের ধরে নিতাম’- তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শোরগোল পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলে। নাম করে বললেও, আদতে তিনি যে বিজেপির দিকেই এই অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করেছেন, তা আর বোঝার অপেক্ষা রাখে না। তবে এখন প্রশ্ন একটাই, মুখ্যমন্ত্রী সবকিছু জানার পরও কেন চুপ করে রয়েছেন? দোষীদের কেন ধরছেন না মুখ্যমন্ত্রী?
এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ নই আমি। তোমাদের অনেক নেতারা মহিলা কেসে জড়িয়ে আছেন। আমার কাছে সব তথ্যই রয়েছে, কিন্তু কিছু বলিনি। এসব মাথায় রেখো’। নাম না করলেও, মুখ্যমন্ত্রী যে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির উদ্দেশ্যেই এমন মন্তব্য করেছেন, বুঝতে কারোরই অসুবিধা হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্ত বসু জানিয়েছেন, ‘ভাইপোকে ডাকতেই দিদিমণি ভুলভাল বকা শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ হাজার মিথ্যে মামলা রয়েছে। আর উনি বলছেন, সত্য ঘটনা জেনেও চুপচাপ বসে রয়েছেন? এসব কথা ওনার দলীয় কর্মীরা বিশ্বাস করবেন তো? প্রতিহিংসা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমার্থক শব্দ, সেটা গোটা দুনিয়া জানে’।
মুখ্যমন্ত্রীর উক্তি প্রসঙ্গে আইনজীবী তথা সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘রাজনৈতিক সৌজন্য মানে যদি অপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে এটা সরাসরি অপরাধে উৎসাহ দেওয়া বোঝায়। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করলেন, উনি মহিলাঘটিত অপরাধীদের চেনা সত্ত্বেও তাদের ধরছেন না। এটা একপ্রকার ভয়ঙ্কর মন্তব্য’।