বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় ও ধনী পরিবার হল কাপুর পরিবার। বংশ পরম্পরায় অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তাঁরা। আগেকার সময়ের নামী অভিনেতা রণধীর কাপুর (randhir kapoor)। আর এ প্রজন্মের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছোট মেয়ে করিনা কাপুর খান। ধন দৌলত, ঐশ্বর্য উপচে পড়ছে খানদানে। কিন্তু একথা বললে বিশ্বাস করবেন কি এক সময় রীতিমতো করুণ অবস্থা ছিল কাপুর পরিবারের!
রণধীর কাপুর, প্রাক্তন স্ত্রী ববিতা কাপুর এবং দুই মেয়ে করিশ্মা ও করিনাকে নিয়ে সংসার। কিন্তু প্রথম সারির অভিনেতা হয়েও চারজন মানুষের খরচ টানতে হিমশিম খেতেন রণধীর। এর আগে ছোটবেলায় নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন করিনা। আর এবারে খোদ রণধীর জানালেন করিনা করিশ্মার ছোটবেলায় রক্ত জল করা পরিশ্রম করে উপার্জন করতেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে রণধীর এখনকার আর তার সময়কার বলিউডের মধ্যে তুলনা করে বলেন, তাঁর সময়ে বছরে মাত্র একটা ছবি করলে সংসারের জোয়াল টানা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াত। আর সেই সময় তিনি একাই রোজগার করতেন। তাঁর অভিনয়ের টাকাতেই চলত পরিবার। দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচ, সংসারের বিভিন্ন খরচ তো ছিলই, তার উপর স্ত্রী ববিতার নানাবিধ খরচ খরচা, নিজের দামী মদ না হলেও চলত না রণধীরের। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যাতেই পড়তে হত অভিনেতাকে।
রণধীরের মদ্যপানের নেশার ব্যাপারে অনেকেই অবগত। তিনি নিজেই একবার বলেছিলেন তাঁর এই অভ্যাসের জন্যই স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছিল। আগে বেশি করে মদ্যপান করতেন রণধীর। রাতে দেরি করে বাড়িও ফিরতেন। তা নিয়ে ববিতার সমস্যা ছিল। রণধীরকে তাঁর মতো মেনে নিতে পারেননি তিনি। আবার অভিনেতাও স্ত্রীর কথা মতো চলতে রাজি ছিলেন না। তাই শেষমেষ বিচ্ছেদ।
করিশ্মা যখন ১৪ বছর বয়সী আর করিনার মাত্র ৮ বছর বয়স তখনি ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় রণধীর ববিতার। দুই মেয়েকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান ববিতা। এ বিষয়ে করিনা বলেছিলেন সে সময়ে কাপুর পরিবার থেকে কোনো রকম সাহায্যই পাননি তাঁরা। ববিতার একটি রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ও আরো কয়েকটি ছোট ব্যবসাই সম্বল ছিল। একা হাতে দুই মেয়েকে মানুষ করেছেন ববিতা।