বাড়ি বসেই পেয়ে যাবেন ‘লক্ষ্মী ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম, ভিড় এড়াতে অভিনব পন্থা জেলাশাসকের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প শুরু হতেই, বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানারকম সংঘাতের চিত্র সামনে আসছে। এবার এই ক্যাম্পে নতুন সংযোজন হয়েছে ‘লক্ষী ভান্ডার’ (laxmi bhandar) প্রকল্পের ফর্ম, আর তা নিতেই লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে শিবিরগুলোতে। তবে এই ভিড় কমাতে এবং সমস্যা যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল দিতে এক অভিনব পন্থা বের করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।

কথা মতন বাংলার ক্ষমতায় এসেই লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। চলতি মাসেই দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পাওয়া যাচ্ছে এই ফর্ম। মহিলাদের স্বনির্ভর করতে, এই প্রকল্পের আয়ত্তায় SC, ST ক্যাটাগরির মহিলাদের দেওয়া হবে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে এবং সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ৫০০ টাকা করে, এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

2033bfd6 8ad2 4ada 91af c4bf596c4b36

তবে বিভিন্ন জেলা থেকে এই ফর্ম নিয়ে নানারকম জালিয়াতির বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও ফর্ম ফিল আপ করে দেওয়ার জন্য নেওয়া হচ্ছিল টাকা, আবার কোথাও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বচসা থেকে হাতাহাতিতে জড়াচ্ছিলেন মহিলারা। তবে এবার লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি।

তিনি জানান, ‘মহিলারা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শীঘ্রই আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, বাড়ি বাড়ি ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে’। জেলাশাসকের এমন সিদ্ধান্ত খুশি জেলার মহিলারাও। তবে সূত্রের খবর, আশা কর্মীদের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ২৫ টি ব্লকে বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই কারণে আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর