বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলার পর থেকেই তালিবানের চাপ ক্রমশ বাড়ছে আমেরিকান সেনাবাহিনী এবং মিত্র শক্তির উপর। যদিও হামলায় প্রায় ১৭০ জন আফগান নাগরিক এবং ১৩ জন মার্কিন সেনা মারা যাবার পর বদলা নিয়েছে আমেরিকা। ড্রোন হামলার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের মূল চক্রীদের নিকেশ করেছে তারা। কিন্তু কার্যত তালিবানের ভিত আরও মজবুত হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেই ৩১ আগস্ট সমস্ত মিত্রশক্তি এবং মার্কিন সেনা বাহিনীকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল তালিবান।
প্রথমে যদিও রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সময় বাড়ানোর কথা ভেবে দেখার প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সম্ভবত ৩১ আগস্টই আফগানিস্তান থেকে সেনা বাহিনীর সরিয়ে নেওয়া হবে। কারণ কাবুল বিমানবন্দরও আর পুরোপুরি মার্কিন এবং মিত্রশক্তির কব্জায় নেই। সেখানেও এখন অবস্থান করছে তালিবানের একটি বিশেষ বাহিনী।বন্দরের পূর্ব গেটে এই বিশেষ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এই গ্রুপের কর্মকর্তা ইনহামুল্লাহ সামঙ্গানি জানিয়েছেন, “মার্কিন সেনারা এখন বিমানবন্দরের একটি ছোট অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেম অবস্থিত।” আর সেই কারণে অনেকেই মনে করছেন আমেরিকা এবং মিত্র শক্তির উপর এবার চাপ বাড়ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সব মিলিয়ে ন্যাটোর প্রায় ছয় হাজার সৈন্য এই মুহূর্তে মোতায়েন রয়েছে কাবুলে। ১৫ আগস্ট তালিবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিক এবং সমস্যাকীর্ন আফগানদের সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। জানা গিয়েছে আজও বেশ কয়েকটি বিমান উড়ান শুরু করেছে এই বিমান বন্দর থেকে।
তালিবানের বিশেষ গ্রুপের ওই কর্মকর্তার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই বিমানবন্দরের প্রধান ফটকে বিশেষ বাহিনীর একটি ইউনিট মোতায়েন করেছিল তালিবানরা, যারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু মার্কিন সৈন্য থাকায় সে সময় তো সম্ভবপর হয়নি। এবার পূর্ব গেটের দায়িত্ব দেওয়া হল সেই বিশেষ গ্রুপকেই।