বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দলবদলু বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ (tanmoy ghosh) সোমবারই দলবদল করে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুকুল রায়ের মতো তন্ময়ের বিরুদ্ধেও আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নির্বাচনের পূর্বে একবার দল ভাঙ্গনের খেলা দেখা গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। তখন দেখা গিয়েছিল, বিজেপির বাংলা জয়ের কান্ডারি হতে দলে দলে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। কিন্তু নির্বাচন শেষে বিজেপির ভরাডুবির পর দেখা গিয়েছে, সেই বিজেপি থেকেই এখন দলে দলে কর্মী সমর্থকরা গিয়ে হাতে তুলে নিচ্ছেন তৃণমূলের পতাকা।
এই পরিস্থিতিতে হেভিওয়েট থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী সমর্থক, অনেকেই গেরুয়া শিবির ছেড়ে দিয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে। সেই তালিকায় এবার নাম লেখালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। সোমবারই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে এবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
এবিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে মুকুল রায় সহ প্রায় ৫০ জন বিধায়ককে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের ভয় দেখিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। মুকুলের বিরুদ্ধে যেভাবে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তন্ময় ঘোষের বিষয়েও ঠিক একই কাজ করা হবে’।
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রথমে তন্ময় ঘোষকে চিঠি দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চাওয়া হবে। তবে আমি নিশ্চিত, এই বিষয়ে তিনি কোন উত্তর দিতে পারবেন না। আসলে, উনি বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় ও তাঁর পিএসি মামলার গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রেখেই দলবদলের চিন্তা ভাবনা করছিলেন। কিন্তু শেষে দ্রুতই সিদ্ধান্ত তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘দলের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁর গ্রেফতারির পর ওই এলাকার বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশের ভয়ে তড়িঘড়ি দলবদল করতে হল’।