বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বিজেপির (bjp) অন্দরে। হেভিওয়েট নেতৃত্ব থেকে সাধারণ কর্মী সমর্থক, দলে দলে গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন তৃণমূলে (tmc)। পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
মঙ্গলবার আবারও বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। আর এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে তন্ময়ের রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে এবং উত্তর না দিতে পারলে, তখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এরপর এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলকে জোরালো আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে (Chandana Bauri) থানার আইসি এবং পুলিশ জানিয়েছে তাঁর নামেও নাকি মামলা হয়ে গেছে। যদি তুমি এখুনি শাসক দলের সঙ্গে রফা না কর, তাহলে তোমাকে জেল খাটতে হবে’।
এমন অভিযোগ তোলার পর শুভেন্দু অধিকারি আরও জানান, ‘চন্দনা নিজের মুখেই জানিয়ে দিয়েছেন, সে বিক্রি হওয়ার লোক নয়। অভাব, দারিদ্র থাকলেও, তন্ময়ের মত অত কোটিপতি হওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই। প্রকাশ্যেই সে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, গরীব হতে পারি, প্রয়োজনে ৬ মাস জেলে কাটাতেও পারি, তবে আদর্শচ্যুত হবে না’।
এদিকে একই কথা শোনা যায় চন্দনা বাউরির মুখেও। তিনিও জানিয়েছেন, ‘আমাকে মিথ্যে মামলার ভয় দেখিয়ে শাসক দলে যুক্ত হতে বলছে। নাহলে জেল খাটানোর ভয় দেখাচ্ছে। আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, দারিদ্রতা থাকলেও, লোভ নেই। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। প্রয়োজনে ৬ মাস জেল খাটবো, রাজমিস্ত্রির কাজ করব, কিন্তু বিক্রি হব না’।
এরপর শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ করেন, ‘শুধুমাত্র চন্দনা বাউরিকেই নয়, শাসক দলের পক্ষ থেকে একাধিক নেতৃত্বকে এভাবে ভয় দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করছে। আর এটা ওদের পুরনো অভ্যাস। তবে শুনে রাখুন, মুকুল রায়ের সদস্য পদ যেমন বাঁচাতে পারবেন না, তেমনই তন্ময় ঘোষের সদস্যপদও বাঁচাতে পারবেন না, শুধু একটু সময় লাগতে পারে’।