ছেলেকে পেয়ে এই বিশেষ মানুষটিকে ভুলে গিয়েছেন সুদীপা! ‘রান্নাঘরের রানি’র বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুদীপা চট্টোপাধ‍্যায় (sudipa chatterjee) এখন দারুন ব‍্যস্ত। দম ফেলার ফুরসত নেই তাঁর। রান্নাঘর এর শুটিং সামলে সম্প্রতি নিজের ব্র‍্যান্ড সুদীপা চট্টোপাধ‍্যায় শুরু করেছেন তিনি। দূর্গাপুজো আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। নিজের বাড়িতেও তো জাঁকজমক করে পুজো হয় তাঁর। সেই প্রস্তুতির মাঝেই হঠাৎ মন খারাপ সুদীপার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ছেলে আদিদেবকে পেয়ে একজনকে ভুলে গিয়েছেন তিনি।

কে সেই বিশেষ মানুষ যার কিনা এত অভিমান সুদীপার প্রতি? সোশ‍্যাল মিডিয়ায় তার সঙ্গেই সকলের পরিচয় করিয়ে দিলেন রান্নাঘরের রানি। সোমনাথ, এক ছোট্ট ছেলে। সুদীপা জানিয়েছেন তাঁর বাড়ির দূর্গাপুজোয় ঢাকিভাইদের সঙ্গে কাঁসর বাজাতে আসত সে। সেই সূত্রেই দুজনের আলাপ, বন্ধুত্ব।

IMG 20210903 113102
সোমনাথের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে সুদীপা লিখেছেন, ‘কাঁসর বাজানো ছাড়াও অন্য অনেক কিছু ওকে করতে হতো। যেমন অষ্টমীর আসরে কবিতা বলা, আমার ভাইপো-ভাইঝিদের সাথে তাল মিলিয়ে দুষ্টুমি করা। মাইক্রোফোন ফাঁকা পেলেই গান জুড়ে দেওয়া, আর কাঁসর লুকিয়ে রাখা। কিন্তু,সব কিছুতে বাড়ীর অন্য বাচ্চাদের মতো সুযোগ পেলেও ‘কাঁসর’ বাজানো তার আর হতো না। হবে কি করে? আরেকজন কাঁসর ধরে যদি টানাটানি করে আর সে যদি হয়,গৃহকর্ত্রী,তাহলে তার ওজর আপত্তি কি টেঁকে?

সোমনাথ হাসিমুখে আমার হাতে কাঁসর দিয়ে দিতো। কেননা,তখন তো আমার আর ওর মনের বয়সের খুব বেশি ফারাক থাকতো না। শেষবার আমাকে এভাবেই জড়িয়ে ধরে বলে গেছিলো “তুমি তোমার নিজের কাঁসর কিনে রাখতে পারো না?” তারপর সোমনাথ আর আসেনা। এক তো পড়াশনার চাপ,তার ওপর ওর নাকি ভীষন লজ্জা করে এখন।

সোমনাথ পড়াশনায় ভয়ঙ্কর রকমের ভালো। দারুন বললেও- কম বলা হয়। জানিনা,এবার ওর লজ্জা ভাঙবে কিনা। তবে,আমি এখন আরও ৪’টে কাঁসর কিনে নিয়েছি। এবার থেকে নো কাড়াকাড়ি। ওনলি ট্যাং ট্যাটাং,ট্যাং ট্যাটাং…. পুজোর আর মাত্র ৩৮ দিন বাকি। দ্যাখ সোমনাথ! আমি প্রকাশ্যে বলছি-“তোর কাঁসর আমি আর কেড়ে নেবো না। আয় না রে সোনা? কতদিন তোকে দেখিনি!” (আদি হবার পর ওর ধারনা ওর প্রতি আমার ভালোবাসা নাকি কমে গিয়েছে..)
“ওরে ভালোবাসা কি কখনও কমে রে? বাড়ে..
আয়! এবার দুজনে মিলে কাঁসর বাজাবো?”
মা আসছে…’।

FB IMG 1630648826761
সুদীপার এই পোস্ট দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন নেটনাগরিকরা। একজন লিখেছেন, একজন মা অন্তর থেকে তার সন্তানকে ডেকেছে, সে কি না এসে থাকতে পারে? অনেকেই লিখেছেন সুদীপার লেখা মন ছুঁয়ে গিয়েছে তাদের। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে গত বছর অন‍্য রকম ছবি ছিল চট্টোপাধ‍্যায় বাড়িতে। প্রতি বছরই ধুমধাম করে দূর্গাপুজো হয় সুদীপাদের বাড়িতে। এবারে মায়ের আসার অপেক্ষায় এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সুদীপা।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর