বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্রিকেট এমন একটি খেলা যা ভারতে বিপুল অর্থ তৈরি করে, ভারতীয় ক্রিকেটাররা এমনকি এক মরশুম আইপিএল খেলেই হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি। কিন্তু অন্যান্য দেশে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নয়। এমনকি নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কাতেও ক্রিকেটারদের মারাত্মক অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ক্রিকেট পরবর্তী জীবনে পেট চালানোই হয়ে ওঠে রীতিমতো কঠিন। যদিও ভারতেও এমন দৃষ্টান্ত যে নেই তা নয়, এখানেও বহু রঞ্জি খেলোয়াড়দের জীবন কেটেছে মারাত্মক অর্থকষ্টে।
তবে সাধারণত জাতীয় দলে খেলা কোন ক্রিকেটারকে তেমন আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় না ভারতে। বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে যথেষ্ট টাকা অর্জন করেন তারা। কিন্তু পড়শী দেশ শ্রীলঙ্কাতেই গল্পটা একেবারে বিপরীত। সুরজ রণদীভ এমন একজন খেলোয়াড় যিনি শুধু শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেটই খেলেননি ২০১১ সালের বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া দলেরও প্রতিনিধি ছিলেন। অথচ এখন তিনিই পেটের দায়ে অস্ট্রেলিয়ায় বাস চালান এবং স্থানীয় একটি ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেন।
সুরজ দেশের হয়ে খেলেছেন বেশ কিছু টি-টোয়েন্টি, ১২ টি টেস্ট এবং ৩১ টি একদিনের ম্যাচ। টেস্টে মোট ৪৬ টি এবং একদিনের ম্যাচে মোট ৩৬ টি উইকেট ছিল তার নামে। এমনকি ভারতে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলেও অংশ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ধোনিদের সঙ্গে খেলা এই ক্রিকেটারকেই এখন যেতে হচ্ছে চরম অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে। সুরজ রণদীভ একবার বীরেন্দ্র সেওয়াগকে সেঞ্চুরি করতে দেবেন না বলে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। সেওয়াগ তখন ছিলেন ৯৯ রানে, দলের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১ রান। বীরেন্দ্র সেওয়াগকে শতরান করতে না দেওয়ার জন্য দিলশানের কথা শুনে ইচ্ছে করে নো বল করেন তিনি। যদিও সেই বলটিকেও ছয় মেরে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছিলেন সেওয়াগ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অবশ্য বেশ কিছুটা বদনাম হয় সুরজের। যদিও পরবর্তীকালে ২০১১ সালে ফের একবার শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলে কামব্যাক করেন এই বোলার, খেলেন বিশ্বকাপও। তবে ক্রিকেট পরবর্তী জীবন অবশ্য খুব একটা সুখের হয়নি রনদীভের জন্য। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া চলে যান তিনি, আপাতত সেখানেই বাস চালিয়ে দিন গুজরান করছেন এই শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার।