বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য মাদক কাণ্ডে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বাংলাদেশের বিতর্কিত অভিনেত্রী পরীমণি (porimoni)। বাড়িতে বেআইনি মদ ও মাদক দ্রব্য মজুত রাখার অপরাধে প্রায় এক মাস জেলের ঘানি টানতে হয়েছে তাঁকে। কিছুদিন আগেই ছাড়া পেয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছেন পরীমণি। হাতের তালুতে মেহেন্দি দিয়ে ‘ডোন্ট লভ মি বিচ’ লিখতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শোনা গিয়েছে জেল ফেরত হওয়ায় তাঁকে বাড়ি ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে সময়টা বেশ খারাপ যাচ্ছে পরীমণির। অভিনেত্রী জেলে থাকার সময় কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যার মধ্যে একটি ভিডিওকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছিল ওপার বাংলায়। ভিডিওতে পুলিস আধিকারিক গোলাম মহম্মদ সাকলায়েনকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল যার জেরে পরবর্তীকালে কর্মক্ষেত্রে বদলি হতে হয় পুলিস আধিকারিককে।
সাকলায়েনের জন্মদিনের ভিডিও ছিল সেটি। নীল কালো থিমে সাজানো হয়েছিল পার্টি। বেলুন থেকে কেক সবই থিম মেনেই নীল কালো রঙের। গোলাপি কালো রঙের পাতলা শাড়ি, কাঁচের চুড়িতে সেজেছিলেন পরীমণি। সাকলায়েনের মুখে থাকা কেকেই কামড় বসাতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। তারপরেই সাকলায়েনের ঠোঁটে চুম্বন করেন তিনি। দুজনের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ হিসেবে ভিডিওটি বেশ চাঞ্চল্য ফেলেছিল ওপার বাংলায়।
জেল থেকে বেরিয়েই এবার এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরীমণি। বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রীর অভিযোগ, তাঁর ফোন, গাড়ি সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। এ সমস্তই ব্যক্তিগত ভিডিও যার তাঁর ফোনে ছিল। ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার কী অধিকার রয়েছে তদন্তকারীদের? প্রশ্ন তুলেছেন পরীমণি। তাঁর আরো অভিযোগ, যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পর্যন্ত চেক করা হচ্ছে।
পরীমণি বলেন, প্রথম থেকেই তিনি শক্ত ছিলেন। যদি সত্যিই কোনো দোষ করে থাকতেন তবে তো তিনি ভেঙে পড়তে। কীভাবে ‘নাটক’ করে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, জেলে তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার হয়েছে সবটাই ধীরে ধীরে প্রকাশ্য আনবেন বলে জানান পরীমণি। অনেকে আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর ছবি তুলে অশ্লীল কনটেন্ট বানিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পরীমণি।