বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (sudipa chatterjee), নামটা শুনলে একটাই তকমা মনে পড়ে। রান্নাঘরের রাণী তিনি। আঁর হাতের গুণে সাধারন থেকে সাধারন রান্নাও হয়ে ওঠে অসাধারন। জি বাংলার রান্নাঘরে একচ্ছত্র রাজ্যপাট চালান সুদীপা। রয়েছে নিজের একটি রেস্তোরাঁও। এহেন সুদীপার ছেলেও যে মায়ের মতোই খাদ্যরসিক হবে তা কী নতুন করে বলতে লাগে?
রান্নাঘরের রাণীর ছোট্ট রাজপুত্রের সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় হয়ে গিয়েছে। আড়াই বছর বয়সের ছোট্ট আদিদেব চট্টোপাধ্যয়কে (aadidev chatterjee) দেখতেও হয়েছে অনেকটা মায়ের মতো। সুদীপার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রায়শই দেখা যায় খুদেকে। এই ছোট্ট বয়সেই তার বড়দের মতো হাবভাব। মাকে চোখে হারায় আদিদেব।
তবে মা ছাড়াও আরো একটি ভালবাসা রয়েছে ছোট্ট আদিদেবের। আর তা হল খাবার। সুদীপার ইনস্টা হ্যান্ডেলেই তার প্রমাণ মিলেছে। একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি যেখানে দেখা যাচ্ছে হাতে একটি জিলিপি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে আদিদেব। সামনে প্লেটে সাজানো কচুরি, তরকারি শিঙাড়া।
আদিদেবের চোখ একবার কচুরির প্লেটের দিকে আর একবার হাতের জিলিপির দিকে। ভাবটা এমন, ‘আগে কোনটা খাই কচুরি নাকি জিলিপি?’ ঘুম থেকে উঠেই ছেলের এই কাণ্ড দেখে ক্যামেরাবন্দি করার লোভ সামলাতে পারেননি সুদীপা। সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে জুড়ে দিয়েছেন ট্রেন্ডি ‘জলেবি বেবি’ গান। কমেন্ট বক্সে আদিদেবের জন্য উপচে পড়েছে ভালবাসা। আবার কয়েকজন লিখেছেন, কচুরি জিলিপি দেখে তো তাদেরই খেতে ইচ্ছা করছে।
এ তো গেল আদিদেবের কথা। তার পাশেই দাঁড়িয়ে যে আরেকজন কচুরির প্লেটের দিকে লোভ দিচ্ছে তা কি নজরে পড়েছে? ইনি হলেন সুদীপার আদরের পোষ্য সারমেয়। তার কাণ্ডকারখানাও ক্যামেরাবন্দি করেছেন সুদীপা। সোফায় বসে করুণ চোখে কচুরির প্লেটের দিকে তাকিয়ে সে। চোখে মুখে প্রশ্ন, মা কি এই প্লেট থেকে এট্টু খেতে দেবে? এদিকে সুদীপার মজার উত্তর, যতই খাওয়ায় আরো খেতে চাইবে।
https://www.instagram.com/reel/CTdreEohlx7/?utm_medium=copy_link
শিক্ষক দিবসেও ছেলে আদিদেবকে নিয়ে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছিলেন সুদীপা। মায়ের কোলে আরাম করে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাকে। সুদীপা জানান, হঠাৎ করেই তাঁর রান্নাঘরের শুটিং সেটে হাজির হয়ে গিয়েছিল আদিদেব। আর গিয়েই হুকুম, “মা! বাড়ী চলো।” সুদীপা লিখেছেন, ‘এমন কঠিন পরীক্ষা আগে কেউ দিতে বলেনি। এ পরীক্ষার চিটিং চলবে না। কি যে করি? … দেখুন কেমন রাগ করেছে?’