বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলিশের লাঠি খেলে মরাও নাকি কথা বলে ওঠে এমন প্রবাদ চলে আসছে বহুদিন ধরে। এবার কার্যত এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো উত্তর প্রদেশ। মৃতের নামেই দায়ের হয়ে গেল এফআইআর। একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চূড়ান্ত বিরম্বনার মুখে পুলিশ অফিসাররা। ঘটনাটি ঘটেছে জালাউনের রাজেন্দ্র নগরে।
শনিবার এই এলাকার বাসিন্দা সাগর গুপ্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহটিকে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এপর্যন্ত ঘটনা ছিল সবটাই আইন অনুরূপ। কিন্তু এর পরেই ঘটে এক মারাত্মক ভুল। কার্যত এই মৃতেরই স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাগর গুপ্তর নামে দায়ের করা হয় অত্যাচার এবং প্রতারণার এফআইআর। ঘটনা সামনে আসতেই পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা নড়েচড়ে বসেন।
পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। সাগরের আত্মীয়-পরিজনদের কথায়, প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সাগর। বৈবাহিক জীবনও খুব একটা সুখের ছিল না তাদের। কিন্তু একজন মৃত ব্যক্তির নামে কি করে দায়ের হয় এফআইআর? সেটাই ছিল সব থেকে বড় প্রশ্ন। ঘটনা ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে দেখে কোতোয়াল বিনোদ পান্ডে এবং ফাঁড়ির ইনচার্জ রাতের অন্ধকারে মৃতের আত্মীয়দের বাড়িতে পৌঁছান এবং মামলা রফাদফা করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পুলিশের দাবিও দুক্ষেত্রে দু’রকম। একদিকে যেমন দেখা যায় রাতের অন্ধকারে আত্মীয়-পরিজনদের বাড়ি গিয়ে মামলা রফাদফা করার অনুরোধ করছেন তারা। তেমনই আবার অন্যদিকে পুলিশ সুপার রবি কুমার বলছেন যে এফআইআরটি ৪ সেপ্টেম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছিল, তবে এখন তা মুছে দেওয়া হয়েছে।