বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠন কার্যত এখন সময়ের অপেক্ষা। তালিবানদের কাছে শেষ বাধা হিসেবে খাড়া ছিল পঞ্জশির। জাতীয় প্রতিরোধ বাহিনী নিয়ে সেখানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন আহমেদ মাসুদরা। কিন্তু অবশেষে এবার ভেঙে পড়ল সেই প্রতিরোধ। জানা গিয়েছে এর পিছনেও বড় ভূমিকা রয়েছে পাকিস্তানের। সোমবারই তালিবান জানিয়েছিল, তারা পঞ্জশির দখল করেছে এবং পুরো আফগানিস্তান এখন তাদের দখলে। যদিও তার পরেও মাসুদ জানিয়েছিলেন যুদ্ধ চলছে।
কিন্তু এবার কার্যত সমস্ত রকম প্রতিরোধ শেষ করে দিল তালিবানরা। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এর পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছে পাকিস্তান। তালিবানদের সঙ্গে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে পাকসেনারাও। বেশ কয়েকটি সামরিক বিমান ইতিমধ্যেই পঞ্জশিরে বোমা হামলা করেছে। কোথা থেকে এই বিমানগুলি এসেছে তার সরাসরি স্পষ্ট না হলেও অভিযোগের আঙুল উঠেছিল পাকিস্তানের দিকেই। আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ গত সপ্তাহে আকস্মিকভাবে কাবুলে গিয়েছিলেন। তাকে তালিবান নেতাদের সঙ্গে চা পান করতেও দেখা যায়। আর তারপর থেকেই আরও মজবুত হয়েছে এই অভিযোগের ভিত্তি।
আফগানিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে এভাবে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ নিয়ে এবার সরব হলেন আফগান মহিলারা। কাল রাতে, কাবুল শহরে প্রতিবাদে মুখর হন বেশ কিছু আফগান মহিলা। এই মিছিল থেকে ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগানও তোলা হয়। জানা গিয়েছে শুধু কাবুল নয় সোমবার থেকে বালখ প্রদেশের মহিলা সংগঠনগুলিও আবার বিক্ষোভ শুরু করেছে। যদিও সেখানে উপস্থিত তালিবানরা সাংবাদিকদের বিক্ষোভের ঘটনা তুলে ধরতে বাধা দেয়।
https://twitter.com/AlinejadMasih/status/1434991182103392256?s=19
অন্যদিকে তালিবানের পক্ষ থেকে স্পষ্টতই জানানো হয়েছে, পাকিস্তান তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে না। উল্লেখ্য, অতীতে ইরানও পাকিস্তানের ধরনের হস্তক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছিল। কার্যত আফগানিস্তান থেকেই উঠলো পাকিস্তান মুর্দাবাদ স্লোগান। জানিয়ে রাখি, অন্যদিকে সরকার গঠন নিয়েও হাক্কানী গ্রুপ ও তালিবানদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই আগামীদিনে এখন পরিস্থিতি কি হয় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।