বাংলাহান্ট ডেস্ক: ট্রোল হওয়াটা জীবনের অঙ্গ বানিয়ে নিয়েছেন সইফ আলি খান (saif ali khan) ও করিনা কাপুর খান (kareena kapoor khan)। তাঁদের দুই ছেলের নাম নিয়েই সমালোচনার অন্ত নেই নেটমাধ্যমে। তৈমুর (taimur) ও জাহাঙ্গীর (jehangir), অত্যন্ত ছোট বয়সেই ট্রোলের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। বাবা মা হিসেবে কেমন অনুভূতি হয় সইফ-করিনার? কীভাবে সামলান তাঁরা এত নেতিবাচকতা?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোল নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন সইফ। নামের জন্য দুজন শিশুকেও ছাড়ছে না সমালোচনাকারীরা, এদের মানুষ হিসেবেই মনে করেন না তিনি। অভিনেতার কথায়, “পৃথিবীটা সমানাধিকারের জায়গা নয়। সবাই সমান খুশি নয়। আমাদের অনেকে বিশেষ অধিকার রয়েছে। কিন্তু আমার মতে আমরা মানুষ ভাল, আমরা আয়কর দিই, আইন মেনে চলি, কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে বিনোদনের যোগান দিই এবং যথেষ্ট ইতিবাচকতা ছড়াই। আর যারা শুধুই নেতিবাচকতা ছড়াচ্ছে আর মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে তাদের ব্যাপারে কিছু বলার প্রয়োজনই মনে করিনা আমি। আমি নেতিবাচক কমেন্ট পড়ি না এবং অন্য বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করি।”
এর আগে সইফ জানিয়েছিলেন, ট্রোল সমালোচনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না তিনি। আর এতে বাস্তবিকই খুব সুবিধা হয়েছে তাঁর। কাজে মনোযোগ বেড়েছে। সমস্ত নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকতেই এই পদক্ষেপ তিনি নিয়েছেন বলে জানান অভিনেতা।
সইফ আরো বলেন, চাইলে গুগল থেকে তিনি দেখতেই পারেন কবে কখন তিনি কী বলেছেন। কিন্তু খারাপ মন্তব্য বা ট্রোল দেখলেই সারাদিনের জন্য তাঁর মেজাজ বিগড়ে যেত। তখনি করিনা তাঁকে পরামর্শ দেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে।
বড় ছেলে তৈমুরকে যে পরিমাণে সমালোচনা সইতে হয়েছে সে কথা মাথায় রেখেই ছোখ ছেলে জেহ এর পুরো নাম এবং তার মুখ প্রকাশ্যে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন করিনা ও সইফ। অভিনেত্রীর বই করিনা কাপুর খানস প্রেগনেন্সি বাইবেলে প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে তাঁর ছোট ছেলের নাম আসলে জাহাঙ্গীর। এরপরেই তারকা দম্পতির উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে তাতে যে ‘সইফিনা’ পাত্তা দিচ্ছেন না তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে অভিনেতার মন্তব্যে। উপরন্তু জাহাঙ্গীরকে নিয়ে এখন পাপিরাৎজির ক্যামেরার সামনেও আসতে শুরু করেছেন তাঁরা।