বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গণেশ পুজোর প্যান্ডেলে একদিকে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবয়বে উপস্থাপিত দুর্গা প্রতিমার কোলে দেব গণেশ। আর অন্যদিকে সেই প্যান্ডেলেই চলল উদ্দাম চটুল গান এবং সিগারেট হাতে অশ্লীল নৃত্য করলেন এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
মালদার (malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের বারোডাঙায় জাগরণ সংঘ প্রথমবার গণেশ পুজোর আয়োজন করে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবয়বে উপস্থাপিত দুর্গা প্রতিমার কোলে দেব গণেশকে রাখা হয়। দেবী দুর্গার পরনে নীলপেড়ে সাদা শাড়ি এবং তাঁর ৮ হাতে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
https://www.facebook.com/watch/?v=911556316433178&ref=sharing
শুক্রবার পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল, টিএমসিপির জেলা সভাপতি প্রসূন রায় সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভালোভাবে পুজো মিটে গেলে সমস্যাটা দেখা গেল সোমবার রাতে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার নামে সেখানে চলল চটুল হিন্দি-বাংলা গানের সঙ্গে চলছে উদ্দাম অশ্লীল নৃত্য। শুধু তাই নয়, সিগারেট হাতে নিয়ে, পরনের জামা কোমরে বেঁধে স্টেজে উঠে অশ্লীল নৃত্য করলেন এক স্থানীয় তৃণমূল নেতা। যার পরই নিন্দায় মুখর হল রাজনৈতিক মহল।
এই ঘটনায় শাসক দলকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়ল না বিজেপি এবং কংগ্রেস। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর অপসংস্কৃতি চলছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্গা বানিয়ে তাঁর কোলে গণেশ দেবতাকে প্রতিস্থাপন, প্রকৃতপক্ষে সংস্কৃতির চরম অবনমন। তারউপর সারারাত চলল ক্যাবারে ডান্স। মুখ্যমন্ত্রী দয়া করে এসব বন্ধ করুন’।
অন্যদিকে কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আবদুস সুভান কটাক্ষ করে বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্গা মনে করেন, আবার তাঁর সামনেই উদ্দাম নৃত্য করছেন। এমন কাজ করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকেই বিসর্জন দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন’।
এবিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মানিক দাস বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা অপসংস্কৃতির উদাহরণ। দল এইসব কাজকে কখনই প্রশ্রয় দেয় না। দল নিশ্চয়ই এর ব্যবস্থা করবে’।