বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে দলের জেলা সভাপতি ও দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিকবার সুর চড়িয়েছিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। শনিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দলবদলের পর, এবার তাঁর গলাতেও শোনা গেল বেসুরো সুর।
আগে থাকতেই নিজেকে দলের সমস্ত কাজ থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। এবার বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যেতেই, দল বিরোধীতায় সপ্তমে সুর চড়ালেন এই বিজেপি বিধায়ক। এমনকি তৃণমূলে যাওয়ারও একটা ইঙ্গিত দিলেন তিনি। যা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গেরুয়া রাজনীতির অন্দরে।
রবিবার সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন, তাঁরা কিন্তু অসম্মানিত হয়েই দল ছাড়ছেন। তাই কারা অসম্মানিত হচ্ছে সেটা দেখা দরকার। দলের সমস্ত কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছি, আমার প্রতিবাদ আমি জানিয়ে সময় দিয়েছিল দলকে। সেই সময়ের মধ্যে দলের নেওয়া সিদ্ধান্ত আমি ভাবনাচিন্তা করে দেখব’।
তবে এদিন তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী জানান, ‘চিন্তাভাবনা করছি। তবে সঠিক সময় এলেই সব জানতে পারবেন’।
প্রসঙ্গত, শনিবার গেরুয়া শিবিরকে বড় ঝটকা দিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর এই দলবদলের জেরে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে বাবুলকে নিয়ে জল্পনার শেষ ছিল না। তাঁর দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে নানা জলঘোলা হয়েছিল রাজনীতির অন্দরে। তবে সমস্ত জল্পনা কল্পনা শেষ করে, অবশেষে শনিবার তৃণমূলে নাম লেখান বাবুল সুপ্রিয়।