বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কার্যত কল্পতরু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। একদিকে যেমন বাংলার মহিলাদের জন্য লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন তিনি, অন্যদিকে তেমনি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন তিনি। যার জেরে সরকারি লোনের মাধ্যমে পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে কতটা সফলতা পাচ্ছে এই প্রকল্প?
নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২২ হাজারের কিছু বেশি ছাত্র-ছাত্রী লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তাদের বেশিরভাগই হয় এখনও অনুমোদন পায়নি, নয়তো তাদের আবেদনই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। খবর অনুযায়ী এ পর্যন্ত লোন দিয়েছেন মাত্র ৪৯৩ জন। লোন অনুমোদন হয়নি ২০৫১৪ জন আবেদনকারীর। আবেদন বাতিল করা হয়েছে ১০৩৯ জনের, যদিও কি কারনে এই আবেদন বাতিল করা রয়েছে সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে চায়নি নবান্ন।
এরমধ্যে ভূমিকা রয়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিরও। যার জেরে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্য সচিব। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি সরকারি এই প্রকল্পকে মাণ্যতা দেবেনা তাদের থেকে সরকারি অ্যাকাউন্ট তুলে নেওয়া হবে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোন মঞ্জুর হয়নি বেসরকারি এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলি অনুমোদন না দেওয়ায়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেশিরভাগ জেলাতেই খুব কম পড়ুয়াই লোনের জন্য মজুরি পেয়েছেন। যেমন বাঁকুড়া জেলায় ৯৩৪ টি আবেদন পরেছিল যার মধ্যে ৮১৩ টি আবেদনপত্রকেই এখনও অনুমোদন দেয়নি ব্যাঙ্কগুলি। মাত্র ২৯ জন ছাত্রছাত্রীই এক্ষেত্রে লোন পেয়েছেন। অবস্থা একই আলিপুরদুয়ারেও এক্ষেত্রে ১১৮ টি আবেদন লোন পেয়েছেন মাত্র ৪৩ জন। বীরভূমের ৬৭ টি আবেদনপত্রের সবই এখনও ব্যাঙ্কের বিচারাধীন।
কোচবিহারের ২২৫ টি আবেদনপত্রের মধ্যে লোন দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬৬ জনকে। দার্জিলিংয়ের ৩৩১ টি আবেদনপত্রের মধ্যে মাত্র পাঁচটি অনুমোদন পেয়েছে। খবর অনুযায়ী সব থেকে বেশি লোনের আবেদন বাতিল হয়েছে নদিয়ায়। আর এই কারনেই প্রধানত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের।