বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়ায় সুখবর! বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (ritabhari chakrabarty)। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর আসন্ন বিয়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নেটমাধ্যমে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে বিষয়টা আর রাখঢাকের পর্যায়ে রাখেননি অভিনেত্রী। বরং ফলাও করে জানিয়ে দিয়েছেন বিয়ের তারিখ, পাত্র সমস্ত কিছুই।
চলতি বছরের শেষেই নাকি আসছে সেই শুভদিন। না, এখনি বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন না ঋতাভরী। এ বছরের শেষে কেবল বাগদান পর্বটা সারবেন। তারপর ধীরে সুস্থে আগামী বছরের শেষে করবেন বিয়ে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই প্রথম খুল্লমখুল্লা বিয়ের কথা জানালেন অভিনেত্রী।
ঋতাভরী জানান, লম্বা একটা সময় শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে কেটেছে তাঁর। পরপর দুটি অস্ত্রোপচারের পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁর আগের প্রেমিক থাকতেন মুম্বইতে। প্রয়োজন থাকলেও পাশে পেতেন না তাঁকে। সে সময়েই নায়িকার জীবনে প্রবেশ নায়কের। তিনিই হবু বর, মনোবিদ তথাগত চট্টোপাধ্যায়।
প্রথমে হবু বরের ক্লিনিক উদ্বোধনে গিয়েছিলেন ঋতাভরী। তখনি আলাপ। কিন্তু ঋতাভরী যখন শয্যাশায়ী তখনি দুজনের ঘনিষ্ঠতার শুরু। অভিনেত্রীর কথায়, “বাঙালি ছেলেকে ডেট করার অন্য আরাম আছে। বাংলায় কথা বলা যায়।” বিয়ের প্রস্তাবটা নাকি নায়কই প্রথম দিয়েছিলেন। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতাভরী জানিয়েছিলেন, বিয়ে করছেন না তিনি। কারণ হিসেবে তিনি এখন দাবি করেন, সত্যিটা স্বীকার করার মতো মনের জোর ছিল না তাঁর।
তবে হবু বরকে বিয়ের আগেই এক শর্ত দিয়েছেন ঋতাভরী। বাগদানের পর ও বিয়ের আগে কিছুদিন একসঙ্গে থাকবেন তাঁরা অভিনেত্রীর বাড়িতে। বিয়ের পর অবশ্য চলে যাবেন সল্টলেকের একটি নতুন বাড়িতে। বাগদান নিয়েও বড় পরিকল্পনা আছে ঋতাভরীর। হবু বরকে যে আংটিটী দেবেন তার মধ্যে একটি বিশেষ বার্তা লেখা থাকুক, এমনটাই ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।