বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং হিন্দু আর মুসলিমদের প্রজনন হার নিয়ে বড় বয়ান দিয়েছেন। উনি বলেন, একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ১৯৫১ সালের পর থেকে মুসলিমদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার হিন্দুদের তুলনায় অনেক কমেছে। আজ মুসলিমদের প্রজনন হার ২.৭ আর হিন্দুদের ২.৩। উনি বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে হিন্দু আর মুসলিমদের প্রজনন হার বরাবর হয়ে যাবে।
এছাড়াও উনি বলেন, বিজেপির অনেক নেতা আর আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য নিজের-নিজের সম্প্রদায়কে প্রজনন হারের ইস্যু তুলে ধরেছে। বিজেপির লোকেরা বলে মুসলিমরা চার-চারটি বিবি করে আর ডজন ডজন সন্তানের জন্ম দেয়। ১০ থেকে ২০ বছর পর মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে আর হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে যাবে। আমি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলছি, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। আমার সঙ্গে এই নিয়ে কেউ আলোচনায় বসলে বসতে পারে। দিগ্বিজয় সিং বলেন, বিজেপির মতো ওয়াইসিও মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে।
#WATCH | A study shows that since 1951, decline in fertility rate in Muslims has been more than that in Hindus. Today, fertility rate in Muslims is 2.7% & 2.3% in Hindus. By this rate, it will be equal in Hindus & Muslims by 2028: Congress leader Digvijaya Singh (22.09) pic.twitter.com/2AtAtRj2fp
— ANI (@ANI) September 23, 2021
উল্লেখ্য, মার্কিন থিংক ট্যাংক PEW রিসার্চের সাম্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত হিন্দুদের জনসংখ্যা ৩০ কোটি থেকে বেড়ে ৯৬ কোটি হয়েছে। আর মুসলিমদের জনসংখ্যা একই সময়ে সাড়ে তিন কোটি থেকে বেড়ে ১৭ কোটির আশেপাশে হয়েছে। অন্যদিকে খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা ৮০ লক্ষ থেকে বেড়ে প্রায় তিন কোটি হয়েছে।
২০১১ সালে জনগণনা অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৭৯.৮ শতাংশ হিন্দু আর মুসলিমদের জনসংখ্যা ১৪.২ শতাংশ। তবে বিগত দশ বছরে এই সংখ্যা আরও বদলেছে। রিসার্চে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে মুসলিমদের জনসংখ্যা অন্য ধর্মের তুলনায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে। যদিও, ১৯৫১ সালে প্রথমবার জনগণনার পর এখনও পর্যন্ত জন্মহারের গতি কমায় সমস্ত ধর্মের জনসংখ্যা খুব কমই অন্তর দেখা গিয়েছে। ভারতের ১২০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের সংখ্যা মোট ৭৯.৮ শতাংশ। ২০০১-র তুলনায় এটা ০.৭ শতাংশ কম।
অন্যদিকে মুসলিমদের জনসংখ্যা ২০০১ থেকে ২০১১-র মধ্যে ১৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ আর জৈন সবাই মিলিয়ে দেশের ৬ শতাংশ জনসংখ্যার অধিকারী। তাঁদের জনসংখ্যা ১৯৫১ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থির রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ভারতের স্বাধীনতার পর ধার্মিক জনসংখ্যার এই বিপুল পরিবর্তনের পিছনে জন্ম দর সবথেকে বড় কারণ।