বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইপিএলের ৩৪ তম ম্যাচে আজ দুবাইতে লড়াইয়ে নেমেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ টসে জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। তার এই সিদ্ধান্ত আজ দারুণভাবে কাজে দিয়েছিল নাইটদের জন্য।
যদিও শুরুটা ভালোই করেছিল মুম্বাই, একদিকে রোহিত শর্মা এবং অন্যদিকে ডি কক দুজনেই আজ মারমুখী শুরু করেছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় রোহিতকে ফিরিয়ে কলকাতাকে ম্যাচে ফেরান সুনীল নারিন। এদিন ফের একবার ব্যর্থ হন সূর্য কুমার যাদব। কৃষ্ণার বলে মাত্র ৫ রানেই ফিরে যান তিনি। চারটি চার এবং তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ৫৫ রানের ইনিংস খেলে যথেষ্ট আশা জাগিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক কিন্তু ম্যাচের ১৫ তম ওভারে কৃষ্ণা তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরাতেই কার্যত চাপে পড়ে যায় মুম্বাই।
এরপর ছোট ছোট যোগদান রেখেছিলেন পোলার্ড, ঈশান কিশান এবং ক্রুনাল পান্ডেয়া, কিন্তু কেউই দাঁড়িয়ে থেকে শেষ অবধি মুম্বাইকে বড় রানে পৌঁছে দিতে পারেনি। ফের একবার এদিন জ্বলে ওঠেন লকি ফার্গুসন। শুধু বল হাতেই নয় পোলার্ডকে দুর্দান্ত রান আউট করার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। কলকাতার হয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং ফার্গুসন। শেষ পর্যন্ত কলকাতার আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের চাপে মাত্র ১৫৫ রানেই শেষ হয়ে যায় মুম্বাইয়ের ইনিংস।
https://twitter.com/KKRiders/status/1441092449795932162?s=19
জবাবে ব্যাট করতে নেমে গতদিনের ফর্ম শুরু থেকেই ধরে রেখেছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। যদিও শুভমানকে এদিন মাত্র ১৩ রানেই ঘরে ফিরিয়েছিলেন বুমরা। কিন্তু কলকাতার হয়ে জ্বলে ওঠেন রাহুল ত্রিপাঠী এবং তরুণ ভেঙ্কটেশ। মাত্র ৩০ বলে চারটি চার এবং তিনটি ছয় সহযোগে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পর বুমরা তাকে ঘরে ফিরিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছে কলকাতা। কারন অন্যদিকে মারকুটে ব্যাটিংয়ে অর্ধশত রান পূরণ করেছেন রাহুল ত্রিপাঠীও। অধিনায়ক মর্গ্যানের কাজ ছিল শুধুমাত্র রাহুলের সঙ্গ দেওয়া। কিন্তু বুমরার আগুনে বোলিংয়ের সামনে আজ বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি তিনি। কার্যত শেষ অবধি রাহুলের ৪২ বলে দুরন্ত ৭৪ রানের ইনিংসের দৌলতেই ২৯ বল বাকি থাকতেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছায় কলকাতা।