বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি তথা সিপিআই নেতা কানহাইয়া কুমার মঙ্গলবার কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। যদিও, এটা নিয়ে এখনও কোনও আধিকারিক ঘোষণা হয়নি। কিন্তু শোনা যাচ্ছে যে, উনি ২৮ তারিখ গুজরাটের নির্দলীয় বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানিকে নিয়ে কংগ্রেসের হাত ধরতে পারেন। কিন্তু দলবদলের আগে কানহাইয়া কুমার এমন এক কাজ করলেন, যা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিহারের রাজধানী পাটনার সিপিআই কার্যালয় থেকে কানহাইয়া কুমার এসি পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছেন। সিপিআই-র এক নেতা এই কথা স্বীকার করেছেন। সিপিআই কার্যালয়ের সচিব ইন্দু ভূষণ জানান, দুই মাস আগে কানহাইয়া ওই এসি খুলে নিয়ে জান। তখন তিনি বলেছিলেন যে, অন্য জায়গায় শিফট হচ্ছি।
সিপিআই-র কার্যালয়ে এখনও একটি কামরা কানহাইয়া কুমারের নামে রয়েছে। আর সেই কামরার চাবিও তাঁর কাছেই রয়েছে। কানহাইয়া নিজের কামরা থেকে এসি নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাদের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন, নেতারা মেনেও নিয়েছিলেন। কারণ কানহাইয়া সেই সময় বলেছিলেন যে, এসি-টি অন্য জায়গায় লাগাব।
কংগ্রেস চারিদিকে বিপর্যস্ত হওয়ার পর আর একে একে যুব নেতা-নেত্রীরা দল ছেড়ে যাওয়ার পর রাহুল গান্ধী এখন নতুনদের দলে জায়গা দিতে চান। আর এই কারণেই বিহারের বাম নেতা কানহাইয়া কুমারকে তিনি পছন্দ করে নিয়েছেন। কানহাইয়া সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন। যার দরুন ওনার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জল্পনা বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, কানহাইয়া কুমার সিপিআই-র টিকিতে গত লোকসভা নিরাবচনে বেগুসরাই আসন থেকে লড়েছিলেন। ওই আসনে ওনার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। কানহাইয়া উনিশের নির্বাচনে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে পরাজিত হন।