জল্পনা সত্যি, পার্টি অফিস থেকে AC খুলে নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া! সঙ্গী জিগনেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংঘের প্রাক্তন সভাপতি তথা CPI নেতা কানহাইয়া কুমার আর গুজরাটের নির্দলীয় বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানি রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম কোনও নামীদামী ব্যক্তিক্ত কংগ্রেসে যোগ দিলেন। সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি হার্দিক প্যাটেল এই দুই যুব নেতা আর কংগ্রেসের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেন।

এও শোনা যাচ্ছে যে, কংগ্রেসে কানহাইয়া কুমারের যোগদানের পিছনে বিধায়ক শাকিল আহমেদ খান বড় ভূমিকা পালন করেছেন। শাকিল আর কানহাইয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভালো হওয়ার সুবাদেই আজ বাম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া।

নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে শাকিল আহমেদ খান কানহাইয়া কুমারের পাশেই ছিলেন। তখন থেকেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এছাড়াও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরেরও এই যোগদানের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, পিকের নির্দেশ মতোই রাহুল গান্ধী দলে যুব নেতাদের নতুন টিম  বানাচ্ছেন। আর সেই টিমে কানহাইয়া কুমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

বিহারের বাসিন্দা কানহাইয়া কুমার JNU-তে দেশবিরোধী স্লোগান মামলায় শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। এরপর গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিহারের বেগুসরাই থেকে বিজেপির প্রার্থী গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধেও নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তিনি সিপিআই-র প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু গিরিরাজ সিং আর মোদী ঝড়ের সামনে টিকতে পারেননি কানহাইয়া। অন্যদিকে দলিত নেতা বলে পরিচিত জিগনেশ মেওয়ানিকেও দলে নিয়ে দলিতদের মধ্যে বিশেষ ছাপ ছাড়ার চেষ্টায় জুটেছেন রাহুল গান্ধী।

উল্লেখ্য, শুধু জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ বিরোধী স্লোগানই না। বর্তমানে কানহাইয়া কুমার আরেকটি কাজের জন্য চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কানহাইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি সিপিআই-র দফতর থেকে এসি খুলে নিয়ে চলে গিয়েছেন। খোদ সিপিআই নেতা এই অভিযোগ করেছেন।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর