বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা আবহে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ দশা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির। একের পর এক করোনার ঢেউ আর লকডাউনের ফাঁড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল শুটিং। তা যাও বা চালু হল সিনেমা হলগুলিতে তখনো ঝুলছে তালা। তাই সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সরকার হলগুলি খোলার অনুমতি দিতেই যেন হিড়িক লেগে গিয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই ছবির মুক্তির জন্য তারিখ নিতে ব্যস্ততা ছবির প্রযোজকদের মধ্যে।
আর তার জন্যই মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়েছে একাধিক নতুন ছবি। এই তালিকায় রয়েছে অক্ষয় কুমারের (akshay kumar) সূর্যবংশী এবং সলমন খানের (salman khan) অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ। চলতি বছরের দিওয়ালিতেই মুক্তি পেতে চলেছে সূর্যবংশী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নাকি বিভিন্ন হল মালিকদের ফোন করে নিজেদের দাবি জানিয়ে দিয়েছে সূর্যবংশী নির্মাতারা।
৫ নভেম্বর অর্থাৎ মুক্তির দিন অন্য কোনো ছবির সঙ্গে তারা স্ক্রিন শেয়ার করবে না। নির্মাতাদের এই দাবি নাকি মেনেও নিয়েছেন হল মালিকরা। কারণ তার পরের মাসেই বড়দিনে মুক্তি পেতে চলেছে আরোএকটি ধামাকাদার ছবি ‘৮৩’। তাই তাদের খুব বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না।
শোনা যাচ্ছে এর জেরে সলমন খানের অন্তিম ও হলিউড ছবি মার্ভেলের ইটারনালের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন হল মালিকরা। দুটি ছবির ওই একই দিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সূর্যবংশীর নির্মাতারা বেঁকে বসায় প্রশ্নের সম্মুখে পড়ে গিয়েছে ছবি দুটির মুক্তি। শোনা যাচ্ছে এর জেরে পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে সলমনের ছবির রিলিজ।
গত বছরের শেষের দিকে প্রকাশ্যে এসেছিল অন্তিমের টিজার। তখন থেকেই সল্লু অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তার অন্যতম কারণ, এই প্রথম কোনো ছবিতে শ্যালক আয়ুষ শর্মার (aayush sharma) সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যাবে জামাইবাবু সলমনকে।
ছবিতে একে অপরের প্রতিপক্ষ রূপে অভিনয় করছেন সলমন আয়ুষ। একজন শিখ পুলিস অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে বলিউডের ভাইজানকে। অপরদিকে এক কুখ্যাত গ্যাংস্টারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন আয়ুষ। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত সম্পূর্ণ আলাদা। দুটি ভিন্ন জগতের মানুষ মুখোমুখি হলে যে সংঘাতটা সৃষ্টি হবে সেটাই তুলে ধরা হবে ‘অন্তিম’ ছবিতে।