বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে একই দলে থেকে তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। কৃষ্ণ কল্যাণীর বিজেপি ত্যাগের পর ওনার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা বেড়েছে। বিগত কিছুদিন ধরেই তিনি বেসুরো গাইছিলেন। আর এখন সরাসরি বিজেপি দলই ছেড়ে দিলেন।
উল্লেখ্য, ভবানীপুরের ভোটের আগে তিনি নিজের বিধায়ক অফিস থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের ছবি সরিয়ে এটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, ওনার বিজেপিতে আর বেশি দিন নেই। আর এবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি দল থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। তবে, এখনও তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েন নি।
কিছুদিন আগে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী নাম না করে দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, ‘এখানকার সাংসদ এলাকায় কখন আসেন, কখন যান আমরা কিছুই জানিনা। এলাকার মানুষের দরকারে তাঁর দেখা পাওয়া যায় না।” এরপরই দলের কর্মসূচি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কৃষ্ণ। তিনি বলেন, যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
দলীয় বিধায়কের এহেন মন্তব্যে যখন তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা উঠেছিল, তখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছিলেন বঙ্গ বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সময় দিলীপবাবু বলেছিলেন, কৃষ্ণ কল্যাণী দলে নতুন এসেছেন, উনি দলের সমস্ত নিয়ম জানেন না বলেই এহেন মন্তব্য করছেন। কিছুদিন সময় দিন সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
তবে দিলীপ ঘোষের সেই আশ্বাস সফল হল না। অবশেষে দল ছাড়লেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে তিনি প্রথম না। এর আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস সৌমেন রায়। এছাড়াও আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কৃষ্ণবাবুও এখন তৃণমূলে যেতে চলেছেন।