বাংলাহান্ট ডেস্ক: সিদ্ধার্থ (siddharth) ও মিঠাইয়ের (mithai) বিবাহ সুসম্পন্ন। আজ্ঞে, ঠিকই পড়েছেন। এতদিন ধরে যে মুহূর্তটার জন্য হা পিত্যেশ করে বসেছিল দর্শকেরা তাদের জন্য খুশির খবর! শুধু আর একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ১ লা অক্টোবর, শুক্রবারই দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছে সিড মিঠাই। বর কনে একই রয়েছে। কেবল পরিস্থিতিটা আলাদা। এবারে স্বইচ্ছায় বিয়েতে মত দিয়েছে দাদুর নাতি।
যেদিন থেকে প্রোমো প্রকাশ্যে এসেছে সেদিন থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। বৃহস্পতিবারের এপিসোডেই দেখা গিয়েছে সকলের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে মিঠাইকে প্রোপোজ করেছে সিড। তোর্সা বাগড়া দিতে আসলেও পাত্তা দেয়নি। পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে, “আমি যেটা করছি বুঝেশুনেই করছি।”
এরপর আর কী, বিয়ের তোড়জোড় শুরু! ঠাম্মার অনুরোধে আশ্রমেই বসতে চলেছে বিয়ের আসর। ফুলের সাজে সেজে উঠেছে বিয়ে আসর। মিঠাইয়ের বিয়ের সাজও দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। লাল টুকটুকে বেনারসী, সোনার গয়না পরে, মাথায় চেলি পরে কনে সেজে ননদদের সঙ্গে হাজির মিঠাই।
কিন্তু সিদ্ধার্থকে কিছুতেই ধুতি পরানো যায়নি। সাদা শার্ট প্যান্ট পরেই বিয়ে করতে উপস্থিত হয়েছে সে। পালকি করে কৃষ্ণনাম শুনতে শুনতে বিয়ের আসরে আসে মিঠাই। রাধাষ্টমীর শুভদিনে সম্পন্ন হচ্ছে সিদ্ধার্থ মিঠাইয়ের বিয়ে। অপরদিকে বিয়ের আসরে সাদামাটা সাদা রঙের শাড়ি পরে তোর্সাকে দেখে হতবাক সিড। কিন্তু দিদিয়া তাকে আগে থেকেই ধমকে রেখেছে, ‘ট্যাঁশ বুড়ির দিকে তাকালে কান ছিঁড়ে দেব’।
সিড আর মিঠাইরানীর বিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছে তোর্সা। একে একে মালা বদল সহ বিয়ের সব আচার অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর পালা সিঁদুরদানের। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধার্থের বাবা সমরেশ এসে হাজির হন বিয়ের আসরে। বিয়ে হতে পারে না, এমনটাই বক্তব্য তাঁর। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে উচ্ছেবাবু ঘোষনা করে, বিয়ে সে মেনে নিয়েছে। দর্শকদের আর কী চাই?