বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নিম্নচাপের জন্য টানা বৃষ্টি এবং তারউপর বাঁধ ভাঙা কিংবা বাঁধের ছাড়া জলে বন্যা প্লাবিত বাংলার বহু এলাকা। বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
একটা নিম্নচাপের জেরে বাংলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে রয়েছে। শহরতলি কলকাতা থেকে শুরু করে গ্রামও বাংলার বহু এলাকা বর্তমানে জলের তলায়। তারউপর অতিবৃষ্টির কারণে বাঁধ ভাঙা জলে ভেসে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। আবার বড় কোন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়ে DVCও।
সবমিলিয়ে বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকে তোপ দেগে DVC-কে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এমনিতেই বেশি বৃষ্টি হচ্ছে, আর তা আমরা সামলানোর চেষ্টা করছি। বৃষ্টির জন্য বন্যা হলে বুঝতাম। কিন্তু এটা ম্যানমেড বন্যা। মাঝরাতে জল ছাড়লে, মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় তো মারা যাবে’।
মুখ্যমন্ত্রীর করা এই আক্রমণের সপাটে জবাব দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘সমগ্র রাজ্যকে ভাতায় পরিণত করে, ভোটব্যাংক মজবুত করে চলেছেন। পূর্ত, সেচ দফতরের স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন খরচই করে না সরকার। ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ এ সেচ, জলপথ, পূর্ত এবং পরিবহন দফতরের জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে আর কত খরচ হয়েছে? সেসব দেখালেই সব প্রমাণ হয়ে যাবে’।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘আমিও সেচ দফতরে আগে কাজ করেছি। DVC একা জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় না। এই বিষয়ক কমিটিতে সেচ দফতরের সচিব, চিফ ইঞ্জিনিয়র ওয়েস্টার্ন সকলেই থাকেন। প্রথম বন্যাতে খানাকুল, আরামবাগ, পুরশুড়া ভেসে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী কেন বাঁধ মেরামত করাননি?’