বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলায় নিজের মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নির্বাচনে জয়ী হলেও, এখনও অবধি আশঙ্কার কালো মেঘ কাটেনি মুখ্যমন্ত্রীর মাথার উপর থেকে। এবার ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত।
সাধারণ ভাবে নিয়মানুসারে রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করিয়ে থাকেন রাজ্যপাল। আবার অনেক সময় এই অধিকার স্পিকারের হাতেই তুলে দিতে দেখা যায়। তবে এবারে স্পিকারের হাত থেকে শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকারও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কোন ঝামেলা ঝঞ্ঝাটের মধ্যে না গিয়ে নির্বিঘ্নে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ বাক্যপাঠ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চায় তৃণমূল। আগামী বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। সেই মর্মে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিধানসভার গরিমা অনুসারে, রীতিনীতি অনুসারে আসতে বলেছিলাম রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। আগামী ৭ ই অক্টোবর দুপুর ১২ টার আগেই আমরা এই শপথবাক্য পাঠ করানোর পরিকল্পনা করেছিলাম’।
এই বিষয়ে সোমবার ট্যুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘নির্বাচন জয়ের পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা রাজ্যপালের সামনে আনা হোক। তারপর রাজ্যপাল বাকি সিদ্ধান্ত নেবেন’। তবে শেষ পর্যন্ত কি হবে, সেইদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখার জন্য উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ৪ ঠা নভেম্বরের মধ্যে বিধায়ক পদে শপথ নেওয়া খুবই জরুরী। কিন্তু উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়।