বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিতর্কে জড়িয়ে আবারও সংবাদ শিরোনামে উঠে এল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (viswa hindu parishad)। ‘ভগবত গীতা’ (bhagavad gita) -কে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণা করার পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশের সর্ব স্তরে এই গ্রন্থকে বাধ্যতামূলক করার দাবীও জানিয়েছে এই সংস্থা।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবী করেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে মূল্যবোধ এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা ফিরিয়ে আনতে গীতা পাঠ আবশ্যক। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতার ১৮ টি অধ্যায় যুক্ত করা যেতে পারে। যার ফলে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবোধ, কাজের প্রতি দায়িত্ববান হওয়ার প্রবৃত্তি বড়বে।
পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদে জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি ১৪ দিন অন্তর গীতাপাঠ আয়োজন করা প্রয়োজন। এর ফলে আধিকারীকদের মধ্যে কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং কাজের প্রতি ভালবাসা বাড়বে।
এবিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সচিব আচার্য রাধা কৃষ্ণ মানোদী জানান, এই বিষয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে খুব শীঘ্রই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিশ্ব গীতা সংস্থান-এর একটি প্রতিনিধি দল দেখা করবে এবং এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপিও জমা দেবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পাঠ্যক্রমে অবিলম্বে ভগবত গীতাকে অন্তর্ভুক্ত করলে, তবেই সমাজে মূল্যবোধের ক্ষয় আটকানো যাবে, সমাজকে সঠিক পথে ফেরানো যাবে। মুসলিম ও খৃষ্টান সহ যারাই শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভগবত গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করা খুবই প্রয়োজন’।