বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, উত্তর প্রদেশের মানুষের এটা জানা দরকার যে, কীভাবে আমাদের আর্বান প্ল্যানিং রাজনীতির শিকার হচ্ছে। উনি বলেন, গরিবদের জন্য ঘর বানানোর টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে। এরপরেও ২০১৭-র আগে যেই সরকার ছিল, তাঁরা গরিবদের জন্য ঘর বানাতে চায়নি। এর আগে যারা এখানে ক্ষমতায় ছিল, তাঁদের কাছে ঘরবাড়ি বানিয়ে দেওয়ার জন্য পা পর্যন্ত ধরতে হত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত ১৮ হাজার ঘরের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আগের সরকার ওই প্রকল্পে ১৮টি ঘরও দিতে পারেনি। টাকা ছিল, স্বীকৃতি ছিল, কিন্তু উত্তর প্রদেশের রাজনীতি গরিবদের এই কল্যাণকারী যোজনায় প্রভাব ফেলছিল।
উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে পৌঁছানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাওয়ার আগে অযোধ্যা আর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়া ৯ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে স্পর্ধার হোমওয়ার্ক দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, শুনেছি দীপাবলিতে অযোধ্যায় সাড়ে সাত লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমি উত্তর প্রদেশকে বলছি, আলোর জন্য একটি স্পর্ধা করা হোক। দেখি অযোধ্যায় বেশি প্রদীপ জ্বলে, না ৯ লক্ষ ঘরে ১৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে বেশি আলোকিত করে। যেই ৯ লক্ষ ঘর আছে, সেখানে দুটি করে প্রদীপ জ্বললে ১৮ লক্ষ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু মহান মানুষ বলছেন, আমি কি করেছি? আমি আজ এই নিয়ে এমন কিছু বলতে চাই, যা শুনে বিরোধীরা চমকে যাবে। আমি বলতে চাই, যাদের মাথার উপর পাকা ছাদ নেই, এরকম তিন কোটি পরিবারকে এই কার্যকালেই একটি যোজনার মাধ্যমে লাখপতি হওয়ার সুযোগ মিলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন কোটি গরিব পরিবারকে লাখপতি করা অনেক বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অনুযায়ী, গরিবদের জন্য যেই ঘর বানানো হচ্ছে, সেটির দাম একবার কল্পনা করুন। আমরা গরিবদের সবথেকে বড় স্বপ্ন পূরণ করেছি।