বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক কাণ্ডে ভোগান্তি ক্রমেই বাড়ছে শাহরুখ খান (shahrukh khan) পরিবারের। গত শনিবার একটি বিলাসবহুল ক্রুজের মাদক পার্টি থেকে আটক হন কিং খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান (aryan khan) সহ আরো আট জন। টানা ১৬ ঘন্টা জেরার পর আরিয়ান স্বীকার করে নেয় যে সে মাদক নিয়েছিল। এর পরপরই দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা সহ আরিয়ানকে গ্রেফতার করে NCB।
গত সোমবার তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে তোলা হলে আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। উল্লেখ্য, ইনি সেই আইনজীবী যিনি সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত এবং গত বছর রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে মামলা লড়েছেন। এই দুঁদে আইনজীবীকেই ছেলের জন্য বহাল করেছেন শাহরুখ।
আদালতে এদিন আরিয়ানের জামিন করানোর জন্য কোনো কসুর অবশিষ্ট রাখেননি সতীশ মানশিন্ডে। তাঁর দাবি ছিল, শাহরুখ পুত্রের কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি, তাঁর কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ডও নেই, অপরাধী না হওয়ায় রেইডের সময় পালানোর চেষ্টা করেনি আরিয়ান, জিজ্ঞাসাবাদেও পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
পালটা NCB র তরফে সলিসিটার জেনারেল জানান, আরিয়ানের ফোন ঘেঁটে তাঁর চ্যাট থেকে মাদক সংক্রান্ত কথোপকথন মিলেছে। সেখানে আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগসূত্র থাকলেও থাকতে পারে। NCB র দাবি, জেরায় আরিয়ান স্বীকার করেছে ওই ক্রুজ পার্টিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ভিভিআইপি তালিকায় নাম থাকায় এক লক্ষ টাকার প্রবেশমূল্য দিতে হয়নি তাঁকে।
এখানেই NCB র প্রশ্ন, কারা ডেকেছিল আরিয়ানকে? কিন্তু তারকা পুত্রের আইনজীবীর দাবি, কারা ডেকেছিল সেটা জানান কোনো প্রয়োজন নেই NCB র। আরিয়ান চাইলে গোটা জাহাজটাই কিনে নিতে পারে। সেখানে মাদক বিক্রি করার প্রয়োজন নেই তাঁর। মানশিন্ডে আরো দাবি করেছে, আরিয়ানের জামিনযোগ্য অপরাধ না হলে NCB কে যথাযথ যুক্তি দিতে হবে। অন্যের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত মাদকের দায় আরিয়ানের কাঁধে চাপালে হবে না। যদিও আদালত শোনেনি মানশিন্ডের যুক্তি। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত NCB র হেফাজতেই থাকতে হবে আরিয়ানকে।