বাংলাহান্ট ডেস্ক: কোথাও মন্নতের পাঁচতারা হোটেলের সমান খাবার আর কোথায় NCB র হেফাজতে সাধারন ভাত, ডাল, রুটি। বলিউডের তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী অভিনেতার ছেলে হয়ে আজ আরিয়ান খানের (aryan khan) যে এই দুর্দশা হবে তা কি কেউ স্বপ্নেও ভেবেছিল? কিন্তু এর জন্য দায়ী আরিয়ান নিজেই। মাদকের নেশায় জড়িয়ে নিজের সর্বনাশটা নিজেই ডেকে এনেছেন তিনি।
গত শনিবার রাত থেকে NCB হেফাজতে রয়েছেন শাহরুখ পুত্র। মাঝে মাঝেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সেখানে অন্যান্য অভিযুক্তদের মতোই ব্যবস্থাপনা পাচ্ছেন আরিয়ান। কিং খানের ছেলে বলে যে বিশেষ কোনো সুযোগ সুবিধা রয়েছে তাঁর জন্য এমনটা কিন্তু একেবারেই নয়। বাড়ি থেকে খাবার আনানোর জন্য আদালতের বিশেষ অনুমতি চাই।
তা এখনো মেলেনি। অগত্যা NCB র মেসে তৈরি খাবারই বরাদ্দ রয়েছে আরিয়ানের জন্য। তাঁর সঙ্গে মাদক কাণ্ডে ধৃত আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচাও রয়েছেন NCB হেফাজতেই। জানা যাচ্ছে, শনিবার জেরার সময় স্থানীয় দোকানের লুচি তরকারি আর বিরিয়ানি খেতে দেওয়া হয়েছিল আরিয়ানকে।
গত সোমবার তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে তোলা হলে আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন দুঁদে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। আদালতে এদিন আরিয়ানের জামিন করানোর জন্য কোনো কসুর অবশিষ্ট রাখেননি সতীশ মানশিন্ডে। তাঁর দাবি ছিল, শাহরুখ পুত্রের কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি, তাঁর কোনো ক্রিমিনাল রেকর্ডও নেই, অপরাধী না হওয়ায় রেইডের সময় পালানোর চেষ্টা করেনি আরিয়ান, জিজ্ঞাসাবাদেও পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
পালটা NCB র তরফে সলিসিটার জেনারেল জানান, আরিয়ানের ফোন ঘেঁটে তাঁর চ্যাট থেকে মাদক সংক্রান্ত কথোপকথন মিলেছে। সেখানে আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগসূত্র থাকলেও থাকতে পারে। NCB র দাবি, জেরায় আরিয়ান স্বীকার করেছে ওই ক্রুজ পার্টিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ভিভিআইপি তালিকায় নাম থাকায় এক লক্ষ টাকার প্রবেশমূল্য দিতে হয়নি তাঁকে।
এখানেই NCB র প্রশ্ন, কারা ডেকেছিল আরিয়ানকে? কিন্তু তারকা পুত্রের আইনজীবীর দাবি, কারা ডেকেছিল সেটা জানান কোনো প্রয়োজন নেই NCB র। আরিয়ান চাইলে গোটা জাহাজটাই কিনে নিতে পারে। সেখানে মাদক বিক্রি করার প্রয়োজন নেই তাঁর।
মানশিন্ডে আরো দাবি করেছে, আরিয়ানের জামিনযোগ্য অপরাধ না হলে NCB কে যথাযথ যুক্তি দিতে হবে। অন্যের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত মাদকের দায় আরিয়ানের কাঁধে চাপালে হবে না। যদিও আদালত শোনেনি মানশিন্ডের যুক্তি। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত NCB র হেফাজতেই থাকতে হবে আরিয়ানকে।