বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্মসমিতির টিম ঘোষণা হয়েছে। সেই সমিতিতে জায়গা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়াও বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলী মনোহর যোশিকেও কর্মসমিতির দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ থেকেও অনেক নেতা ওই তালিকায় নাম করে নিয়েছেন।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত, বিজেপির বিধায়ক মুকুট মণি অধিকারী, বিজেপির নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, ভারতী ঘোষ, অনির্বাণ গাঙ্গুলিও বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্মসমিতির দলে জায়গা পেয়েছেন। সবথেকে অবাক করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ওই দলে জায়গা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিজেপির মধ্যেই উঠছে অনেক প্রশ্ন।
আর আরেকটি অবাক করা বিষয় হল, বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আবারও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক বানানো হয়েছে। যার পর থেকেই বিজেপির নেতা-কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজয়বর্গীয়কে নিয়ে ব্যঙ্গ, বিদ্রূপ শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে বিজেপির হারের পর সবার ক্ষোভ কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপরে আছড়ে পড়েছিল। তাঁদের মতে, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ভুল নীতি এবং তৃণমূল থেকে সবাইকে দলে নেওয়ার ফলেই এরাজ্যে বিজেপিকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে। এমনকি বিজেপির হারের পর কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের বাইরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে পোস্টার টাঙিয়েছিল বিজেপির কর্মীরাই। ওনাকে নিয়ে দেখানো হয়েছিল চরম বিক্ষোভ।
একুশের নির্বাচনে হারের পর থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বাংলায় আর দেখা যায় নি। এমনকি হেস্টিংসের একটি ভার্চুয়ালি বৈঠকে তিনি সবার পরে যোগ দিয়েছিলেন, আর সেই বৈঠকে তিনি মুখও খোলেন নি। আর এর মধ্যে অনেকেই ওনাকে আবারও বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক করার বিরোধিতা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির নেতা কর্মীরা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরোধিতা করতে করতে ‘ভোডাফোন” প্রসঙ্গও টেনে আনছেন। তবে কী কারণে তাঁরা এই তুলনা করছেন, সেটা আমাদের পক্ষে জাহির করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁদের আচরণ দেখে এটা স্পষ্ট যে, তাঁরা কৈলাসবাবুকে আর বঙ্গে চাইছেন না।