বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন চলেছেন বিরাট কোহলি। কয়েকদিন আগে একথা নিজেই ঘোষণা করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এরপর হয়তোবা কোহলির একদিনের ম্যাচের অধিনায়কত্বও চলে যেতে পারে। বিশেষত যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে না পারে ভারত, তাহলে হয়তোবা ওয়াল্ড কাপ ২০২৩ এর আগেই ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারে সৌরভের বিসিসিআই। কারণ ২৩ সালের বিশ্বকাপ আসতে আসতে কোহলিও প্রায় ৩৪-৩৫ বছর বয়সে পৌঁছে যাবেন।
আর তাই এবার ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে পারে বিসিসিআই। অনেকের মতে, রোহিত শর্মার দিকেও হয়তোবা এই মুহূর্তে দেখতে চাইবে না বোর্ড। কারণ দলের এই বর্ষিয়ান খেলোয়াড়ও কোহিলির মতোই ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাবেন বিশ্বকাপ আসতে আসতে। আর সেই কারণে তরুণ কোন খেলোয়াড়ের উপরেই নির্ভর করতে হবে বোর্ডকে। সেক্ষেত্রে তাহলে কার নাম রয়েছে সকলের আগে?
বিশেষজ্ঞদের মতে এই দৌড়ে ঋষভ পন্থ, শ্রেয়াস আইয়ার, কে এল রাহুলদের নাম অবশ্যই সামনের সারিতে থাকবে। পন্থ এখন আইপিএলে অধিনায়কত্ব করছেন দিল্লির হয়ে অন্যদিকে ভারতের হয়েও জায়গা তিন ফরম্যাটেই পাকা করে ফেলেছেন তিনি। তাই ভাবি অধিনায়কের দৌড়ে অবশ্যই থাকবে তার নাম। শ্রেয়াসের নামও এক্ষেত্রে বিবেচনার মধ্যে থাকতে পারে, বিশেষত দিল্লির হয়ে যেভাবে অধিনায়কত্ব সামলেছেন তিনি তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু ভারতের হয়ে এখনো তিন ফরম্যাটে জায়গা পাকা নয় শ্রেয়াসের। অন্যদিকে ততখানি অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নেই পন্থেরও। আর সেই কারণেই সকলকে টেক্কা দিয়ে দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারেন কে এল রাহুল।
গত কয়েক বছর ধরে আইপিএলে লাগাতার অধিনায়কত্ব করে আসছেন রাহুল। এছাড়া ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাটেই আপাতত জায়গা পাকা তার। শুধু তাই নয় সুনীল গাভাস্কারের মত বিশেষজ্ঞরাও ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে তার নামে সীলমোহর দিতে শুরু করেছেন। আর সেই কারণেই কোহলির পর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বড় দাবিদার হতে চলেছেন রাহুলই। কোহলি একদিনের ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন ২৯ বছর বয়সে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তার উপরে সময় বিনিয়োগ করেছিল বিসিসিআই, এবার সম্ভবত রাহুলের জন্য এই দরজা খুলতে পারে। কারণ খেলোয়াড় হিসেবে যথেষ্ট স্মার্ট মস্তিষ্কের অধিকারী রাহুল। আর সেটা তিনি কাজে লাগাতে পারবেন অধিনায়কত্বেও।