বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যযুগে নিজের অসাধারণ পান্ডিত্যের জন্য রীতিমত বিখ্যাত ছিলেন চাণক্য (Aacharya Chanakya)। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান প্রভৃতি সমস্ত বিষয়েই তার অসামান্য দক্ষতার জন্য আজও তাঁকে সম্ভ্রমের সঙ্গে স্মরণ করে মানুষ। এমনকি রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাস্ত্রে অসামান্য দক্ষতার জন্য তাকে ‘ভারতের মেকিয়াভেলি’ বলেও ডাকা হয়। চাণক্য যেমন একাধিক সমস্যার সমাধান দিয়ে গেছেন, তেমনি এমন অনেক সমস্যার কথাও বলে গেছেন যা থেকে মানুষের দূরে থাকা দরকার। আজ সেই ধরনের কিছু চাণক্য নীতির (chanakya niti) কথাই আমরা আলোচনা করব। আজ আমরা আলোচনা করব চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রীর কিছু গুণাবলী নিয়ে। চাণক্যের মতে, আদর্শ স্ত্রীর মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে এই চারটি গুণ।
ধৈর্যশীলতাঃ নারী যদি ধৈর্যশীল হন, তাহলে তিনি অবশ্যই পুরুষের আদর্শ সহধর্মিনী হতে পারেন এমনটাই মনে করতেন চাণক্য। কারণ চাণক্যের মতে, জীবনের সুখ এবং দুঃখ চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়। আর সেই কারণেই ধৈর্য অত্যন্ত জরুরী। যে নারীর ধৈর্য রয়েছে, কঠিন সময়েও তিনি তার স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে স্বামীকে সাহায্য করবেন। তাতে দুঃখ-দুর্দশা শীঘ্রই দূর হবে এবং ফিরে আসবে সুসময়।
মিষ্টভাষীঃ চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রীর একটি বড় গুণ হলো তিনি সর্বদা মিষ্টভাষী হবেন। আমার মতে যে স্ত্রীর মধ্যে এই গুণ থাকে তিনি তার স্বামীকে স্বর্গ সুখ দিতে সক্ষম। কারণ স্ত্রী কর্কশ ভাষী হলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়, অন্তত এমনটাই মনে করতেন মধ্যযুগের এই দার্শনিক।
ধার্মিকঃ চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রীর অপর একটি গুণ হলো তিনি ধার্মিক হবেন। ধর্মের পথে মানুষকে সর্বদাই মুক্তির দিকে নিয়ে যায়। যিনি ধর্ম মানেন তিনি কখনও পাপকর্মে লিপ্ত হন না, আর সেই কারনে সংসারে সুখ বর্তমান থাকে। অধার্মিক যেকোনও সময় সঙ্গ পরিত্যাগ করতে পারেন, কিন্তু ধার্মিক স্ত্রী সংসারকেও নিজের ধর্ম মনে করেন। তাই তিনি শত কষ্টেও লড়াই থেকে বিমুখ হন না।
শান্ত স্বভাবাঃ চাণক্যের মতে আদর্শ স্ত্রী হবেন শান্ত প্রকৃতির। তিনি অকারনে কলহের বাতাবরণ সৃষ্টি করবেন না। শান্ত প্রকৃতির রমণীরা গৃহে সুখের পরিবেশ বজায় রাখেন অন্যদিকে অতিরিক্ত রাগই ধ্বংসের মূল হয়ে দেখা দেয়। আর তাই এই দার্শনিক মনে করেন, শান্ত স্বভাবের স্ত্রী স্বামীর ভাগ্য পরিবর্তনে বড় ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন।