বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতই শুরু হল কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) জয়ী হয়েই কাজ শুরু করেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (lakshmir bhandar) প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য। সেইমত ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে এই ফর্ম জমা নেওয়া হয়। লাইনও পড়তে দেখা যায়। এই প্রকল্পকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দারুণ উৎসাহ দেখা যায়।
এবার পুজোর মুখেই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অর্থ। ষষ্ঠীতে মায়ের বোধনেই ২ মাসের টাকা ঢুকল বাংলার মহিলাদের অ্যাকাউন্টে। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের অর্থ পেলেন প্রায় ৮০ লক্ষ মহিলা। এক্ষেত্রে সরকারের মোট খরচ হল প্রায় ৮৫২ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুমাসের অর্থ ঢুকল ৮০ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে। পুজোর মধ্যে এই অর্থ পেয়ে তারাও কিছুটা আনন্দের মুখ দেখতে পেয়েছেন। তবে বাকি রয়েছে ৪ জেলা। শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহ এবং দিনহাটায় পুজো মিটলেই রয়েছে উপনির্বাচন। তাই নির্বাচনের নিয়মানুসারে এই ৪ জেলার মহিলারা বর্তমানে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’র প্রদত্ত অর্থ থেকে বাদ পড়েলও, ভোট মিটতেই তাঁদের অ্যাকাউণ্টেও এই অর্থ পৌঁছে যাবে।
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফলে প্রতি মাসে তপশিলী জাতি-উপজাতির মহিলারা পাবেন ১০০০ টাকা করে এবং সাধারণ পরিবারের মহিলারা পাবেন ৫০০ টাকা। ২৫ বছর উর্দ্ধ যে কোন মহিলা এই প্রকল্পের আয়ত্তায় আসতে পারেন। তবে সরকারী চাকুরীজীবী ব্যক্তিদের পরিবারের কেউ এই সুবিধা পাবেন না বলেও জানা গিয়েছে।